আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল
ব্রাজিলের নাম শোনেনি এমন লোক পৃথিবীতে খুব কমই পাওয়া যাবে। ফুটবলের কল্যানে সারা পৃথিবীতে এদের ভক্তের সংখ্যা কম নেয়। এ পর্যন্ত ২১ বার বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ব্রাজিল পাঁচবার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র দল, প্রতিটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেছে। সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০০২ সালে। সেই কবে কোন ছেলেবেলায় পাঠ্যপুস্তকের কল্যানে পেলের নাম শুনে বড় হয়েছি। ফুটবল এবং পেলে এই দুয়ের কারনে ব্রাজিলকে চিনেছি। সারা পৃথিবীতে ব্রাজিলই একমাত্র দেশ যার সাথে সবচেয়ে বেশী দেশের স্থলপথের যোগাযোগ রয়েছে। চিলি এবং ইকুয়েডর ব্যাতীত দক্ষিন আমেরিকার সব দেশের সাথে ব্রাজিলের বর্ডার রয়েছে। যে সমস্ত দেশের সাথে ব্রাজিলের বর্ডার রয়েছে স্থলপথে সেগুলি হচ্ছেঃ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, কলম্বয়িা, ভেনিজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ফ্রেঞ্চ গায়ানা। ব্রাজিলের আয়তন ৮৪৫৬৫১০ বর্গ কি.মি., সামান্য ছোট আমেরিকা থেকে এবং বাংলাদেশ থেকে ১৫২ গুন বড়। ভারত থেকেও সামান্য বড় এবং ৫ম বৃহত্তম সারা প্রথিবীতে। শুধু দেশ হিসাবেও তারা বড় নয়, আরোও অনেক কিছু রয়েছে যার কৃতিত্ব শুধু ব্রাজিলের। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ব্রাজিলিয়ানদের আন্তরিকতা, ব্যবহার বন্ধু ভাবাপন্নতা সবার উর্ধ্বে।
UNWTO’র আমন্ত্রনে সর্বপ্রথম দক্ষিণ আমেরিকার আজেন্টিনা, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়েতে একটি কনফারেন্সে যোগদান করি ২০০৫ সালে এবং কনফারেন্স শেষে তিন মাসে ল্যাটিন আমেরিকার পাঁচটি দেশ আজেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং চিলি ঘুরে আসি। পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকবার দক্ষিন আমেরিকা ভ্রমনের সুযোগ ঘটেছে এবং ভবিষৎতে আবারো সুযোগ পেলে ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার বাকী দেশগুলো ঘুরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে ব্রাজিলে, যার নাম ক্যাসিনো বীচ যা ব্রাজিলের Rio Grand do Sul- এ অবস্থিত। ২১২ কি.মি থেকে ২৫৪ কি.মি Longest Uninterrupted sandy seashore in the world এবং এটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখেছে ১৯৯৪ সালে। এটি দেখতে বছরে ১৫ লক্ষাধিক পর্যটক আসেন।
ক্যাসিনো বীচের পরেই দীর্ঘতম বীচ হিসেবে রয়েছে Padre Island, Texas, USA, যা ১৮২ কি.মি. এটাকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা Drivable Beach নাইনটি মইল বীচ (Ninety Mile Beach) যা ১৫১ কি.মি. (৯৪ মাইল) লম্বা। এবং তারপরেই রয়েছে আমাদের কক্সবাজার বীচ যা ১৫০ কি.মি. (৯৩ মাইল)। বিশ্বের দীর্ঘতম নদের নাম নীল নদ (মিশর) এবং তারপরই রয়েছে আমাজন। যদি ও নীল নদের চেয়ে আমাজনের পানির ধারন ক্ষমতা বেশী সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রজাতির গাছ ও প্রাণীর দেখা পাওয়া যায় ব্রাজিলে। ব্রাজিল সম্পর্কে ছোট করে লেখা অসম্ভব, কারন সৃষ্টিকর্তা ব্রাজিলকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে অকৃপনভাবে। আর তাই হয়তো ব্রাজিলিয়ানরা বলে থাকেন, সৃষ্টি কর্তা হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান (Deus e brasileiro)।
ব্রাজিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে কার্ণিভালের সময় এবং আবহাওয়াকে কেন্দ্র করে এপ্রিল-জুন সময় এবং আগষ্ট-অক্টোবর ও সেরা সময়। তবে মনে রাখবেন, করোনার টিকার পাশাপাশি Yellow Fever টিকা আবশ্যক। যারা আমাজনে যাবার পরিকল্পনা করবেন তাদের জন্য হেপটাইসিস, টিটেনাসের টিকা ও ম্যালেরিয়ার ঔষধ নিয়ে যাওয়া উচিত।
২০০৫ সালে ব্রাজিলের (Foz do lguagu) ফজ দ ইগুয়াজুতে যাই যা ইগুয়াজু ফলস নামে পরিচিত। ফলসটি ২.৭ কি.মি এবং সেখানে ২৫ একক ঝরনা রয়েছে যা এটিকে New Natural Seven Wonders of the World এ খেতাব এনে দিয়েছে। ল্যাটিন বা দক্ষিন আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে অনেক দুরে এবং আমাদের বাংলাদেশী লোকজন ও খুব বেশী নেই। যদিও গত ১০ বৎসরে বেশ লোকজন ছিল কিন্তু করোনা মহামারীর বিপর্যয়ে ও অর্থনৈতিক ধস নেমে যাওয়াতে বেশীর ভাগ লোকজন অবৈধভাবে মেক্সিকো হয়ে আমেরিকা চলে গিয়েছে। বর্তমানে আনুমানিক ১০০০-১৫০০ বাংলাদেশী রয়েছে ব্রাজিলে।
South America is called “Latin America” because the countries that comprise Latin America speak Spanish and Portuguese which are descended from Latin. The term “Latin America” was coined in the 1860s when the French Imperial control over Mexico. He and his ministers used the term to suggest at least some degree of cultural similarity throughout the region and with France. Hence South is called America and the people who live there are called Latinos or Latin Americans.
সাও পাওলো টু রিও
একটা শহর যে এত বড় হতে পারে সাও পাওলো না এলে বিশ্বাসই হতো না। ৪১ মিলিয়ন লোকের বসবাস। সারা বিশ্বের লোক সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের প্রথম ১০টি শহরের একটি। সাও পাওলোতে কামরুলের বাসায় অবস্থান করছি। কামরুলের সাথে ঢাকায় পরিচয় হয়েছিল। কামরুলের বড় ভাই কামাল দীর্ঘদিন ধরে ব্রাজিলে রয়েছে। বিয়ে করেছেন এক ব্রাজিলিয়ানকে। যে অল্প কয়েক জন বাংলাদেশী ব্রাজিলের পাসপোর্ট পেয়েছেন কামাল তার অন্যতম। ব্রাজিলের পাসপোর্ট পৃথিবীর ১৬৯টি দেশে ভিসার ঝামেলা ছাড়াই যাওয়া যায়। শক্তির তারতম্যে বিশ্বের বিশতম শক্তিশালী দেশের পাসপোর্ট।
২০১৫ এর দিকে সাও পাওলোতে এক হাজারের ও বেশী বাংলাদেশী ছিলেন। যদিও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন কারন কিছু লোক যেমন প্রতিদিন ব্রাজিলে আসছে, ঠিক তেমনি কিছু লোক ব্রাজিল ত্যাগ করছে আমেরিকার উদ্দেশ্যে। সাও পাওলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। The inhabitants of the city are called paulistanos, to different them from the in inhabitants of the state who are called paulistas.
এয়ারপোর্টের নাম Guarulhos যা শহর থেকে ৩০ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত। এতবড় শহর আর বেশী বড় মনে হতো ভাষাগত সমস্যার কারনে। ব্রাজিলের ভাষা পুর্তগীজ। ল্যাটিন আমেরিকার সব দেশেই স্প্যানিশ ভাষা চলে শুধুমাত্র ব্রাজিলে পর্তুগীজ। আস্থা বিস্তর স্প্যানিশ ভাষা জানি।
ঢাকার ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ শিক্ষার বেসিক কোর্স ও পরবর্তীতে চিলিতে সান্তিয়াগোতে জমাসের স্প্যানিশ কোর্স গ্রহন করি। এই পর্তুগীজ ভাষায় যুক্ত হয়েছে অনেক আদিবাসী শব্দ এবং আফ্রিকান শব্দ
ব্রাজিল খুবই বিচিত্রময়। তার আয়তন, খাবার, পোষাক, আবহাওয়া, জীববৈচিত্র নানা রকম। ৪টি টাইম জেনে রয়েছে। মজা করে অনেকে বলেন যখন একজন ব্যক্তি চারটি ঘড়ি পড়ে কোথাও যান তখন বুঝতে হবে তিনি ব্রাজিলে যাচ্ছেন।
একটি দেশের ভিতর লুকায়িত অনেক দেশ। এই ব্রাজিল সম্পর্কে এক কথায় মন্তব্য করা খুবই কঠিন।
সাও পাওলোকে অনেকে ডাকেন সাম্পা (Sampa)। ব্রাজিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ইমিগ্র্যোন্ট লোকের বসবাস এই সাও পাওলো শহরে। সাও পাওলোর আয়তন ৭৯৪৩ বর্গ কি.মি.।
২০০৫ সালে অনিকের সাথে প্যারাগুয়েতে পরিচয় হয়েছিল এবং বর্তমানে সে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে রয়েছে (২০১৫)। অনিকের সাথে দেখা করতে যাই সে স্পেনিশ, পর্তুগীজ ভাষায় পারদর্শী। তার ওখানে খায়রুলের সাথে পরিচিত হই। সে ও ভালো পর্তুগীজ বলতে পারে। একসময় বাংলাদেশে ভালো ক্রিকেট খেলতো। খায়রুল আমাকে বেশ সময় নিয়ে সাও পাওলোর দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরিয়ে দেখালো।
সাও পাওলোর Liberdade এলাকাটি মূলত জাপানীজ, চাইনীজ ও কোরিয়ানদের দখলে। তবে শহরটির ভিতর ইতালীয়ন প্রভাব অনেক বেশী শক্তিশালী। ৬ মিলিয়ন লোকের রয়েছে ইতালীয়ান ব্যাকগ্রাউন্ড। তবে সংখ্যায় অল্প কিন্তু প্রভাবশালী কমিউনিটির মধ্যে আরব ও ইহুদীদের প্রচন্ড প্রভাব রয়েছে। যদিও শহরের ৪০% লোক ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের। তাদের বলা হয় Paulistanos পরিশ্রমী হিসেবে সাও পাওলোর লোকদের সুনাম রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যখন সাও পাওলোর লোকেরা কাজ করে তখন বাকী ব্রাজিলিয়ানরা আরাম করে। আরোও বলা হয়ে থাকে দেশটির ৪৫% গ্রস প্রডাক্টের আয় আসে এই সাও পাওলো প্রদেশ থেকে। সাও পাওলোর অবশ্যই দর্শনীয় স্থান হচ্ছে Avenida Paulista সেখান থেকে হেটেই Ibirapuera Park এবং Centro যাওয়া যায়। Sao Paulo Stock Exchange হচ্ছে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম স্টক একচেঞ্জ। পিৎজার জন্যও সাও পাওলো বিখ্যাত Sao Paulo is the second largest consumer of pizza in the world. ৩০৫ বিলিয়ন ডলারের স্টক একচেঞ্জ হয় প্রতিদিন সাও পাওলোতে। খাইরুলের সাথে পাউলিস্তার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, বিশাল বড় রাস্তা পথচারীদের হাটার জন্য। দু পাশে নয়ন জুড়ানো সুউচ্চ অট্রালিকা আকাশ পানে চেয়ে আছে। কিছু জায়গায় দেখলাম সুভ্যেনীর নিয়ে রাস্তায় বিক্রি করছেন কিছু লোক, পর্যটক সমাগম রয়েছে এই এলাকটিতে। ব্রাজিলিয়ান বিখ্যাত আর্কিটেক্ট অস্কার নেইমার একটি স্থাপত্য দেখলাম। অস্কার নেইমার একজন পৃথিবী বিখ্যাত আর্কিটেক্ট। সারা ব্রাজিল জুড়েই যার স্থাপত্য নির্মান শিল্পীর নিপুন কাজ রয়েছে। সাও পাওলোতেই তার ৮/১০টি কাজ রয়েছে এবং সম্প্রতি আরেকজন বিখ্যাত আর্টিস্ট Eduardo kobra ও Street Art এর জন্য বিখ্যাত, এবং সাও পাওলোর সন্তান এবং ব্রাজিল ছাড়াও ৫টি মহাদেশে ৩০০০ মুরাল তৈরী করেছেন। পাউলিস্তার রাস্তায় ও কোবরার তৈরী করেছেন একটি বিমানো বিল্ডিংয়ের বাইরে ওস্কার নেইমারের ম্যুরাল। খুবই আকর্ষনীয়। সারা ব্রাজিলের রাস্তায় প্রচুর Street Printing এবং গ্রাফিতি আর্ট। Banksy নামের একজন ব্রিটিশ আটিষ্ট এই গ্রাফিতি আর্টকে জনপ্রিয় করেন এবং দক্ষিন আমেরিকার একটি দেশ কলম্বিয়াতে ও প্রচুর গ্রাফিটি আর্ট রয়েছে। সেখানকার সরকার ও গ্রাফিটি আর্টের জন্য টাকা দিয়ে থাকেন।
১৮২৩ সালে ব্রাজিল স্বাধীনতা লাভ করে পর্তুগাল থেকে, বর্তমানে রাজধানী ব্রাসিলিয়া, এর আগে রাজধানী ছিল রিও ডি জেনেরিও এবং সালভাদর। ব্রাজিলে যত আন্তজাতিক কোম্পানীর অফিস রয়েছে তার ৬৩% রয়েছে সাও পাওলোতে। সাও পাওলো বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর। অভিজাত শপিং বা উইনডো শপিংয়ের জন্য যেতে পারেন Jardins, JK শপিং মল Iguatemi তে।
ব্রাজিলিয়ানরা ফুটবল পাগল জাতি আর তাইতো সাও পাওলো শহরে রয়েছে ফুটবলের জাদুঘর। ফুটবল প্রেমীদের জন্য আবশ্যই দর্শনীয় স্থান। ১৯৫০ ও ২০১৪ সালে FIFA WORLD CUP অনুষ্ঠিত হয় এই শহরে। Formula One ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় স্পোর্টস। তারা তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে ফমূলা ওয়ান রেসে।
ব্রাজিল এত বড় যে, আনায়াসে হারিয়ে যাওয়া যায় Sao Paulo Tiete Bus টার্মিনালে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম বাস টার্মিনাল। প্রথমে রয়েছে নিউ ইয়র্কের New York Port Authority bus Terminal এছাড়াও সাও পাওলোতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী হেলিকপ্টার। ২য় ও ৩য় স্থানে রয়েছে নিউ-ইয়র্ক ও টোকিও।
Brazilians are not only a friendly and outgoing people, they are also very hospitable. A Brazilians home always has a door open for friends and relatives. Brazilians love to celebrate and it is not difficult for them to come up with an excuse for a festa (a Party)
আতিথিয়েতায় আমাদের দেশের মতন। আমরা যেমন কোন অতিথি বাসায় এলে শরবত বা চা/কফি দিয়ে শুরু করি ঠিক তেমনি তারা শুরু করেন ক্যফেচিনো দিয়ে। আর করবেই না কেন? সারা বিশ্বে কফি উৎপাদনে গত ১৫০ বছর ধরে শীর্ষস্থান দখল করে আছে এবং সারা বিশ্বের ৩০% কফি ব্রাজিল থেকেই যায়। সারা বিশ্বে শীর্ষ পাঁচ কফি উৎপাদনকারী দেশুলো হচ্ছে ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়া। ব্যক্তিগত ভাবে ইথিওপিয়ান কফির আমি বেশ ভক্ত। ইথিওপিয়ার Harrar ও Yigochefte কফি পৃথিবী বিখ্যাত সাও পাওলোতে কিছু বিক্ষোভ মিছিল চোখে পড়ল, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন, কিন্তু কি শান্ত মৌন মিছিল, কোন ভাংচুর নেই, জ্বালাও পোড়াও নেই। দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এত বড় দেশ চালানো সহজ কথা নয়। ব্রাজিল সম্পর্কে একটা মজার গল্প বলি, It is the story of the creation of Brazil : “ When god created Brazil, he made it big, rich and beautiful country with wonderful beaches, mountains, lush forest, pristine rivers, large reserves of gold, diamonds, metals, minerals, timber and petroleum and unlike other countries, god did not provide for volcanic eruptions, earthquakes, landlides or floods. st. peter, when he saw how much god had given to Brazil in comparison to other places, asked: ‘ Why did you make this country so rich and not put any natural disasters there like everywhere else? And god answered: ‘Just wait and see the kind of people I will put there.’ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তাদের আমাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ঢাকা থেকে ভিসা পেতে ৫৬ দিন, ব্রাজিলে আসার পর মোবাইলে সীম কার্ড চালু করতে দীর্ঘ সময় এমনকি কূটনৈতীক সুমনা ইকবাল ব্রাসিলিয়াতে আমাদের বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত নিজের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সময় লেগেছিল অবিশ্বাস্য ভাবে ২৬৯ দিন। কিন্তু সাধারণ মানুষ অসম্ভব রকম ভাল, বন্ধু, অতিথি পরায়ন ভাষা পর্তুগীজ হবার কারনে অনেকের সাথে আলাপের গভীরতায় যেতে পারিনি। কিন্তু তাই বলে আন্তরিকতায় কোন ঘাটতি দেখিনি। খায়রুল আমাকে নিয়ে গেল চিয়েতে যা বিশ্বের ২য় বৃহত্তম বাস টার্মিনাল সেখান থেকে রিওর কাছাকাছি পারিবা দ্যা সল যাব। দুরত্ব ৪২৩ কি.মি. যেতে ৬/৭ ঘন্টা লাগবে বাসে। পারিবা দ্যা সেল এ রাখাল বাবু নামে এক বাংলাদেশী থাকেন, তার কাছে যাব। রাখাল মালয়েশিয়া থেকে ব্রাজিলে এসেছে এবং একটি গ্লোভস তৈরীর কারখানাতে চাকুরি করে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। রাখাল বলে দিয়েছিলো, সাও পাওলো থেকে বাসে পারিব দ্যা সোল যাবার খুটিনাটি বিষয়। রাত্রের বাসে রওনা দিলে সকালে ৬ টার সময় পারিবা দ্য সেলে এসে পৌছাব এবং সেটাই সর্বশেষ বাস স্টপেজ। সুতরাং তেমন টেনশনের কিছু নাই। রাত্রে কামরুল ও তার রুমমেট রুমান আমাকে মসজিদ পার্কের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠিয়ে দিল চিয়েতে বাস টার্মিনালে যাবার জন্য। খুব বেশী দুরে নয় বাস টার্মিনাল। তাই অল্প সময় পরেই চলে এলাম চিয়েতে বাস টার্মিনালে। টিকিট দেখে নির্দিষ্ট স্থানে এসে বসলাম। বসার যায়গায় খুবই অল্প সংখ্যক যাত্রী অপেক্ষমান।