বানারীপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাদক দিয়ে ফুফাতো ভাই ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক রাজু আহম্মেদকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে গনি মিয়ার চায়ের দোকান সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশি তদন্তে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাদক দিয়ে ফুফাতো ভাইকে ফাঁসানোর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এ সময় তারা আপন ফুফাতো ভাই রাজুকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রকারী ট্রলি চালক মামাতো ভাই সাকিবকে গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের কুন্দিহার গ্রামের মো. রাজু আহম্মেদ (২৬) ও একই এলাকার মো. ধলু মিয়া (৩০) উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূলফটকে মানোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মোটরসাইকেল রেখে সড়কের পাশের গনি মিয়ার চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। এর কিছু সময় পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে হাজির হয়।
এসময় তারা সেখানে রাজুর পরিচয় নিশ্চিত হন এবং তারা তার দেহ তল্লাশি করে আপত্তিকর কোনো কিছু না পেয়ে তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলের কাছে যান। এ সময় তারা রাজুর মোটরসাইকেল তল্লাসি করে ৮পিচ ইয়াবা উদ্ধার করার পাশাপাশি রাজু ও ধলুকে আটক করেন।
পরে খবর পেয়ে রাজু ও ধলুর পরিবার থানা চত্বরে গিয়ে অবস্থান করেন। এ সময় তারা থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে রাজু ও ধলুকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
পরে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাফর আহম্মেদ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে রাজু ও তার সহকর্মী ধলুকে ফাঁসানোর মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে। পাশাপাশি ইয়াবা দিয়ে ফুফাতো ভাই রাজুকে ফাঁসানোর জন্য সাকিবকে আটক করেন। এ সময় আটক সাকিব তাদের কাছে ফুফাতো ভাই রাজুকে ফাঁসানোর পুরানো ইতিহাস তুলে ধরেন। পরে ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে সাকিবকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সকালে আটক সাকিবকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে ওসি মো. হেলাল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান।