রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের সঙ্গে বেলারুশ সরকারের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে ভাগনার বাহিনী বেলারুশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বেলারুশ সরকার এ তথ্য জানায়। খবর আল-জাজিরার।
গত মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভাগনার বাহিনীর স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের পর এ চুক্তি হয়। বিদ্রোহের আগে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধে ভাগনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৫০০-এর বেশি দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
তবে ভাগনারের কতজন যোদ্ধা এখন বেলারুশে আছেন, কিংবা আরও যোদ্ধা তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না, সে ব্যাপারে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।
রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গত ২৪ জুন মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল ভাগনার। তারা রোস্তভ অন দন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। সমঝোতা অনুযায়ী, ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন তাঁর যোদ্ধাদের বিদ্রোহ থামাতে বলেন। আর এর বিনিময়ে রাশিয়া তাঁদের বিরুদ্ধে করা বিদ্রোহের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়।
২৪ জুন রোস্তভ শহর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে প্রিগোশিনকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
ওই বিদ্রোহের পাঁচ দিন পর মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন এবং ভাগনারের অন্য যোদ্ধাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠক সম্পর্কে তেমন তথ্য জানা যায় নি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোমারসান্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন জানায়, তিনি ভাগনার যোদ্ধাদের বলেছিলেন, তারা যেন সবাই এক জায়গাতেই জড়ো হন এবং সেখানেই কাজ করেন। তাদের নেতা একই থাকবে।