কঠিন এক লড়াইয়ের পর ভারতের কাছে হেরে ভাগ্যকেই দুষলেন সাকিব আল হাসান। কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিবকে মোটেই হতাশ মনে হয়নি। দলের পারফরমেন্সে তিনি সন্তুষ্ট। ম্যাচের একটা সময়ে দলের ৫২ রান দরকার। হাতে ৮ উইকেট এবং ৫ ওভার। সাকিব বলেন, এরকম একটা অবস্থায় আমাদের চেজ করা উচিত ছিল। আমাদের যে ধরনের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল, আমি বিশ্বাস করছিলাম যে ঐ রান চেজ করার জন্য আমরা যোগ্য ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি। আমরা মিডল ওভারে দুই তিনটা উইকেট হারিয়ে ফেলি। ঐ মুহূর্তে আবার খেলায় ফেরা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
এমন এক দুঃসময়ে সোহান এবং তাসকিন খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ওরা আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছে। আসলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোই এমন। প্রতি ওভার প্রতি বলে ম্যাচের মোমেন্টাম পরিবর্তন হতে থাকে। ম্যাচ এক বার ওদের দিকে যাচ্ছিল এক বার আমাদের দিকে আসছিল। শেষ দুই ওভারে যদি আপনি দেখেন অনেক দলই আছে দুই ওভারে ৩০ করে। এটা এমন কঠিন কিছু না এমন কন্ডিশনে। আমরা করতে পারিনি এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সাকিব বলেন, আমরা জিততে পারিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। তবে আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত সবাই যেভাবে চেষ্টা করেছে মাঠে।
ভারতের কাছে হেরে আফসোস করার পক্ষপাতী নন সাকিব। ভারতের সঙ্গে ইদানীংকালের ম্যাচগুলো খুব ক্লোজ হচ্ছে। সাকিব বলেন, ভারতের সঙ্গে বেশ একটা ভালো ম্যাচ হয় এবং দুই দলই চেষ্টা করে জিততে। আমরা খুব কাছাকাছি যাচ্ছি। আশা করি রেজাল্টটা পরিবর্তন করতে পারব ভবিষ্যতে। আমার কাছে মনে হয় এই দলটা যদি একসঙ্গে খেলতে পারে কিংবা আরো যারা আছে তাদের ঐ বিশ্বাসটা আস্তে আস্তে তৈরি হবে যে আমরা এত কাছে যেতে পারলে আরেকটু কেন পারব না।
লিটন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, গত ২-৩ বছর ধরে ও খুব ভালো খেলছে। টি-টোয়েন্টিতে হয়তো এ বছরটা খুব ভালো খেলছে। কিন্তু আপনি যদি ওর ওয়ানডে বা টেস্ট দেখেন তাহলে দেখবেন শেষ দুই বছর ধরে ও খুব ভালো খেলছে। ঐ আত্মবিশ্বাসটাই এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও এসেছে।
ম্যাচে বৃষ্টি আইনের প্রয়োগ বিষয়ে সাকিব বলেন, আমি সবসময় চাই যেন ২০ ওভারের খেলা যখন হয় পুরোটাই যেন হয়। আমরা কোনো মুহূর্তেই চিন্তা করিনি যে বৃষ্টি আইন আসতে পারে। ইভেন যখন বৃষ্টি হচ্ছে এতক্ষণও বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল না। বৃষ্টিটা না হলে আমাদের যে মোমেন্টামটা ছিল ওটা ভালো থাকতে পারত।