ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশীর ভাঙা টানেলে পাইপ ঢোকাতে গিয়ে বিপত্তি বেধেছে। দ্বিতীয় দফায় ধস নামে টানেলে। উদ্ধারকারী দলের দুই জন সদস্য আহত হয়েছেন। দিল্লি থেকে নতুন যন্ত্র আনা হচ্ছে। আপাতত স্থগিত করা হয় উদ্ধারকাজ।
উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে অন্য শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। স্লোগান উঠছে, ‘আমাদের লোকদের উদ্ধার করো।’ এই পরিস্থিতিতে টানেলের আশপাশে বেশি ভিড় না করার আবেদন জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ৭০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উত্তর কাশীর টানেলে আটকে আছেন ৪০ শ্রমিক। তারা কেউই বের হতে পারেননি। পাইপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। তবে শ্রমিকদের টানেল থেকে বের করে আনার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।
ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার মধ্যে চওড়া পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু পাইপ ঢোকানোর জন্য খুঁড়তে গেলেই সমস্যা হচ্ছে। কোথাও না কোথাও নতুন করে ধস নামছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ নতুন করে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধস নামায় তা বন্ধ করা হয়। দিল্লি থেকে মাটি খোঁড়ার আধুনিক যন্ত্র আনা হচ্ছে। ঘণ্টায় পাঁচ মিটার করে খোঁড়ার ক্ষমতা আছে সেই যন্ত্রের। বুধবারের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে নতুন করে ধস নামায় তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ১৬০ জন উদ্ধারকারী উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজের বাহিনী।