ভারতে রাসূল (সা.)এর অবমাননার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদে উত্তাল বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রাম। বাদে জুমা নগরীর মসজিদগুলো থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে সাধারণ মুসল্লিরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ইসলামি আন্দোলন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, গাউছিয়া কমিটি, মুসল্লি কমিটিসহ নানা ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নামে। উত্তাল হয়ে উঠে চট্টগ্রাম নগরী। মহানগরীর পাশাপাশি জেলার উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। নগরীর ওয়াসা চত্বরে বিরাট সমাবেশ করে ইসলামি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরী। সেখানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হয়।
জুমার নামাজের খুৎবায় ইমাম খতিবগণ ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের এমন ন্যাক্কারজনক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শানে রেসালতের উপর বয়ান করেন। আগেই চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া জুমায় শানে রেসালাতের উপর বয়ানের আহŸান জানান। ইমাম খতিবগণ বলেন, মহানবীর (সা.) অবমাননার পর কোন ঈমানদার চুপ করে থাকতে পারে না।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তাগণ রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতের এমন ন্যাক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করারও দাবি জানান। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দু’জন নেতা নূপুর শর্মা ও নাভিন জিন্দাল কর্তৃক ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং উম্মাহাতুল মুমিন হযরত আয়েশা (রা.)কে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহŸান জানান তারা। বক্তারা বলেন, স্বাধীন মতপ্রকাশ একটি সার্বজনীন মানবাধিকার। কিন্তু নিজের এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করার কাজে নিজের মত ব্যবহার করলে সেটা মারাত্মক অপরাধ সাব্যস্ত হয়। ভারতীয় জনতা পার্টিও (বিজেপি) মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লি শাখা
গণমাধ্যম প্রধান নাভিল কুমার জিন্দাল যেটা করেছেন সেটা শুধু চরম অসভ্যতাই নয়, বরং এতে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। এতে করে তারা ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জঘন্য সা¤প্রদায়িক ঘৃণা ও জাতিগত সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুতর অপকর্ম করেছে। শুধু মুসলমানরাই নন, বরং শান্তিকামী কোন বিবেকবান মানুষই এই অপকর্মকে সমর্থন করছে না। তারা বলেন, বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। আমাদের দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীও একজন ধর্মভীরু মুসলমান। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-এমপিরাও প্রায় সময় ইসলামের প্রতি গভীর আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার কথা তুলে ধরেন। অথচ ভারতে ইসলামের নবীকে এতো গুরুতর অবমাননার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ নীরবতায় দেশবাসী হতাশ।