নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। উপমহাদেশীয় ক্রিকেট ভক্তরা নিশ্চয়ই ফাইনালের অপর দল হিসেবে ভারতকে চাইবে। কিন্তু ইংল্যান্ড তা হতে দিলে তো। অ্যাডিলেডে আজ তাই সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে ইংলিশরা।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ়তার কথাই শোনালেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার, ‘আমরা অবশ্যই চাই না ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হোক। তাই আমরা চেষ্টা করে যাব এটা যাতে না হয়। ভারত খুবই শক্তিশালী এক দল। লাইনআপে দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। সেমিফাইনালে উঠলে খুবই কঠিন দলকে প্রত্যাশা করেন এবং ভারত তেমনই একটি দল।’
আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে ২০১৩ সালের পর দেখা না হলেও সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সঙ্গেই বেশি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে ভারত। গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতেছে সিরিজ। তাই সেই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামবে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন , ‘যদিও ইংল্যান্ডকে হারানো চ্যালেঞ্জের, তবু তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে আমরা তাদেরকে হারিয়েছি, আর সেটাই আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস দেবে। এই টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটের গতিশীলতা আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারি। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে হবে। এই টুর্নামেন্টেও সত্যি বেশ কিছু ভালো ক্রিকেট খেলেছে তারা। এজন্য তারা এখন সেমিতে।’
অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ভেন্যু থেকে অ্যাডিলেড কিছুটা আলাদা। এখানে স্কয়ার বাউন্ডারি অনেক ছোট আবার সেই তুলনায় স্ট্রেইট বাউন্ডারি অনেক বড়। এখানেই বাংলাদেশকে ডিএলএস মেথডে হারিয়েছে ভারত। তবে চলতি আসরে ইংল্যান্ড আজই প্রথম খেলতে নামবে এখানে। আগে ব্যাট করে এখানে গড় সংগ্রহ ১৫৭। তাই খুব ধুমধারাক্কা কিছু হবে তেমনটা আশা করা বোকামি।
পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়ার প্লেতে বাকি দলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম রান করেছে ভারত। কিন্তু সেই তারাই আবার ডেথ ওভারে সবচেয়ে বিপজ্জনক দল। পাওয়ার প্লে তে ওভারপ্রতি ৫.৯৬ রান তুলে তারা। সেখানে শেষ চার ওভারে রান তুলে এর চেয়ে দ্বিগুণ।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন। প্রথম আট জনের সবাই বলতে গেলে ম্যাচউইনার। একজন দাঁড়িয়ে গেলে যথেষ্ট। যদিও ভুবনেশ্বর কুমারকে খেলতে গিয়ে বেশ ভুগেন জস বাটলার। ৩২ বলে ৫ বার আউটের শিকার হয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের জন্য বড় হুমকি হিসেবে থাকবেন সুরিয়াকুমার ইয়াদভ ও বিরাট কোহলি। বিশেষ করে কোহলি, অ্যাডিলেড যেন তার কাছে ঘরের মাঠ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৪ ইনিংস খেলেছেন তিনি। যার পাঁচটিতে সেঞ্চুরি ও তিনটিতে ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি। সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে বলেন, ‘আমি এখানে খেলতে ভালোবাসি। যখনই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করি, তখনই ঘরের মতো মনে হয়। এই মাঠ ও এই উইকেট আমাকে আপন করে নিয়েছে।’ আজ অ্যাডিলেড কাকে আপন করে নিবে সেটা সময়ই বলে দিবে।