ভারত-পাকিস্তান যে কোনো খেলাই হোক এই দুই দলের লড়াই দুই দেশের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ছড়ায়। দুই দেশের খেলা মানেই বারুদের গন্ধ। ফুটবলের লড়াইয়ে বারুদের গন্ধ পান দর্শক। অনেক দিন পর পাকিস্তান ফুটবল দল ভারতে খেলতে আসছে। আবার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সাফের উত্তেজনা অনুভব করা যায়। আট বছর পর সাফ হচ্ছে ভারতে। বেঙ্গালুরুতে শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে আজ রাতে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। কোনো সন্দেহ নেই। সাফের প্রথম দিনেই ফুটবল উত্তেজনায় কেঁপে উঠবে দর্শক। কারণ এই ম্যাচের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।
ভুবনেশ্বরে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে একেবারে তরতাজা ভারত মাঠে নামবে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া সুনীল ছেত্রীরা ১ কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। উজ্জীবিত হয়ে নতুন ৯ নম্বর ট্রফির জন্য মাঠে নামবেন তারা। গত এক দশকে পাকিস্তানের ফুটবল অনেক পিছিয়ে পড়েছে। পাকিস্তান এখনো সাফ ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি। সাফে তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন সেমিফাইনাল খেলে তৃতীয় হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে ফিফার র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান ছিলো ১৪১ নম্বরে। সেই পাকিস্তানের অবস্থান এখন ১৯৫। সাফে কখনো ট্রফি না জিতলেও পাকিস্তান স্বর্ণ পদক জিতেছিল এসএ গেমস ফুটবলে। কলম্বো কাপ ট্রফি জয় করেছিল।
কোনো সন্দেহ নেই যে এই সাফের দেশগুলোর মধ্যে ভারত ফেবারিট। তাদেরকে হারাতে পাকিস্তান ফুটবল দল মরিশাস গিয়েছিল। চার জাতি টুর্নামেন্টে তিন মাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে। এক ম্যাচে গোল করেছে। একটি গোলই টুর্নামেন্ট হতে প্রাপ্তি মনে করলেও পাকিস্তান ভাবছে অন্য কথা। সাফে নামার আগে ভালো প্রস্তুতি দরকার ছিল। কারণ অনেকদিন ধরেই পাকিস্তান ফিফার নিষেধাজ্ঞায় ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আবার নতুন পথে হাঁটতে শুরু করেছে। মরিশাস থেকে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাতে পারেনি গতকাল পর্যন্ত। কারণ ভিসা জটিলতায় আটকে ছিল। ভিসা হয়েছে। বিমান ধরে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাতে ১২-১৩ ঘন্টা ভ্রমন করতে হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে আজ ভোরে বেঙ্গালুরু পৌঁছাবে। যদি তাই হয়, ম্যাচের দিন ভোরে পৌঁছানোর পর ক্লান্তি দুর করতে হবে, বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলন না করেই ম্যাচ খেলতে স্টেডিয়ামে ছুটতে হবে। এতেই বোঝা যায় ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। একটা দল ম্যাচের দিন এসে কোনো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে না, এভাবে শুধু পাকিস্তানই নয় যে কোনো দলই ফুটবল খেলতে পারে না। তার ওপর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে সেটা তো আরো কঠিন হয়ে যায়। বর্তমান পাকিস্তানে ইউরোপে খেলা ৯ ফুটবলার রয়েছেন। তারা গর্জে উঠতে পারলে ভালো ম্যাচ উপহার পাবেন দর্শক।
২০১৮ সালে ঢাকায় সাফের সেমিফাইনালে ভারত ৩-১ গোলে, ২০১৩ নেপাল সাফে ভারত ১-০ গোলে, ২০০৮ সালে মালদ্বীপের সাফে ভারত ২-১ গোলে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। সব মিলিয়ে ভারত পাকিস্তান ফুটবলের মুখোমুখি হয়েছে ২৬ বার। ভারত জিতেছে ১৩ বার। ড্র হয়েছে ১০ ম্যাচ। পাকিস্তানের জয় আছে তিনবার।