প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটিও থাকতে পারে। রোহিঙ্গাদের যাতে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়, সে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তিনি ভারতের সহায়তা চাইতে পারেন।
বার্তা সংস্থা এএনআইর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সেপ্টেম্বরে দেশটিতে সফর করতে পারেন শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এরই মধ্যে নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কপবাজার জেলার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে তারা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসাসহ নারী-শিশু পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারেরক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চি সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছিল সরকার। সু চিকে হটিয়ে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক জান্তা সরকার আসার পর এ আলোচনার পালে আর হাওয়া লাগেনি। তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যত থেমে আছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, এ সংকটের একমাত্র সমাধান (মিয়ানমার) রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিত যে যখন শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, তখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন; যাতে ভারত এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহায়তা করে।