কোনো ত্রুটি না থাকা সত্ত্বেও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় একটি মজবুত সেতুর হাতল ভেঙে পুনরায় মেরামত করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা হোগলা নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতু (কার্তিকপুর সেতু) মেরামতের নামে হাতলের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সরকারি টাকা ‘নয়ছয়’ করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ করছে এলজিডি। যেভাবে মেরামত করা হচ্ছে এতে সেতুর হাতলগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্র ও এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সখিপুর থানার ৯টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের জন্য এ সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ৩০ বছর আগে পদ্মা হোগলা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এর সব অংশ এখনো বেশ মজবুত।
সম্প্রতি সেতুর দুপাশের সড়ক বৃদ্ধি ও কার্পেটিং, ড্রেন নির্মাণ, মাটি ভরাট ও রেলিংয়ের কাজের জন্য ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কাজটি তদারকি ও বাস্তবায় করছে ভেদরগঞ্জ এলজিইডি। আনোয়ার হোসেন-বৃষ্টি বিল্ডার্স নামে একটি জয়েন্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।
সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুর দুপাশের অন্যান্য কাজের সঙ্গে রেলিং মেরামতের নামে সেতুর মজবুত হাতলগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। হাতলগুলো মজবুত হওয়ায় শ্রমিকদের ভাঙতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রকৌশলীরা নিজেদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করে গেছেন ভাঙার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা মনসুর আহমেদ ও শাহিন মিয়া বলেন, ব্রিজটির হাতগুলো পুরো অংশই ভালো ও মজবুত। তারপরও এগুলো ভাঙা হচ্ছে। এতে সেতুর হাতলগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। সাইদুল হোসেন বলেন, এলাকায় অনেক ভাঙা ব্রিজ আছে, সেগুলো ঠিক করার নাম নাই। সরকারি টাকা ‘নয়ছয়’ করার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে।
ঠিকাদার মেহেদী হাসান বলেন, এলজিইডি প্রকৌশলীদের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।
তবে ভেদরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ব্রিজটির রেলিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো ভেঙে মেরামত করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ভিত্তিহীন।