আমাদের দেশে ৫ থেকে ১১ বছরের দুই কোটি ২০ লাখ শিশু আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই বয়সী শিশুরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক,তাদেরকে হিসেবে নেওয়া হয়েছে।এতে তারা ভাসমান হোক আর স্কুলে না পড়া শিশু হোক,সব শিশুই টিকা পাবে।’
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ,দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।শিশুদের টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা হবে।তার জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
নিবন্ধন ছাড়া টিকা নিতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা তারাই নিতে পারবে, যারা নিবন্ধন করেছে।নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে,তবে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
মন্ত্রী জানান,শিশুদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোতে।সেখানকার স্কুলগুলোতে এই টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,শিশুরা যাতে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে এসে টিকা নেয় এবং টিকা কেন্দ্রে এসে যাতে বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করে।স্বাস্থ্য প্রটোকলের যে বিষয়টি রয়েছে তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।কেউ যদি অসুস্থ হয় তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও সেখানে রাখা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতীতেও টিকা দিয়েছি। আমাদের ডাক্তার,নার্সদের এখন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে,তারা প্রশিক্ষিত।৩০ কোটি টিকা প্রদানেও আমাদের কোনো রকম কোনো অঘটন ঘটেনি।আমরা শিশুদের বিশেষভাবে মনোযোগী আছি।’
কতগুলো সেন্টারে এই টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানালে সে হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বল জানান মন্ত্রী।