সয়াবিন ও পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে কমেছে, দেশের বাজারে সেই হারে কমছে না। তাই ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা সমন্বয় করতে ১৫ দিনের মধ্যে মিল মালিকদের সাথে বৈঠক করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
যুদ্ধের প্রভাব সত্ত্বেও আগামী অর্থ বছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দেড় থেকে দু’মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ আর পাম তেলের দাম কমেছে ৪৮ শতাংশ। আর দেশে এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে ছয় শতাংশ। পাম তেলের দাম কমেছে ১২ শতাংশ।
বুধবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে প্রশ্ন ছিল আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে দেশের বাজারে তেলেরদাম কমবে তো?
তিনি বলেন, তেলের দাম কমানোর পরেও যারা বেশি দামে বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করতে খুব শিগগিরই মিলমালিকদের সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, করোনার দুই বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কম থাকায় রফতানিও কম ছিল। তারপরও ২০২০ সালে ৪৫ বিলিয়ন আর ২০২১ সালে রফতানি আয় ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার। এবার সেই আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও গেল অর্থ বছরের রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জনের গতি বেড়েছে। পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে সরকার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করে এবার রফতানি বেশি হবে বলে আশাবাদি। সেজন্য চলতি বছর রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রকোপ আবারও বাড়ছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী তাপদাহ পরিস্থিতি নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজকে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বেমূল্যস্ফীতি বেশ এলার্মিং। আমাদের তুলনায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ। এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, একটা নেগেটিভ ইফেক্ট পড়তে পারে। তারপরও আমাদের ক্যাপাসিটি, ইফোর্ট, শ্রমিক, উদ্যোক্তা সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি।