ভোলার লালমোহনে বোমা বিস্ফোরণে মনির বয়াতি (৪৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ফিরোজ মাঝি (৩০) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের কালামবুল্লা গ্রামের আজাহার মাঝির ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর মনির বয়াতি ও ফিরোজ মাঝিকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে মনির বয়াতির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) বাবুল আক্তার বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখান থেকে কিছু বোমার আলামত জব্দ করা হয়েছে। নিহত মনির বয়াতি ওই এলাকার মৃত তালেব আলীর ছেলে এবং আহত ফিরোজ মাঝি স্থানীয় ওজিউল্লাহ মাঝির ছেলে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক আজাহার মাঝি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর তার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের কাছে দুজন লোক আসে। তারা ঘরে বসে আলাপ করছিল। এ সময় ঘরের পেছনের বারান্দায় হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে পুরো বাড়ি কেঁপে ওঠে। এরপরই দেখতে পান মনির বয়াতি ও ফিরোজ মাঝিকে ঝলসানো অবস্থায়। এর ঘণ্টা খানেক পর পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে আহতদের নিয়ে যায়। বোমার আঘাতে ঘরের বারান্দার চালা ও কিছু আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে থাকা আজাহার মাঝির ছেলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তারা ঘরের মধ্যে বসে কথা বলার একপর্যায়ে তাদের ঘরের ওপর কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।’
নিহত মনির বয়াতির স্ত্রী ময়ফুল বেগম বলেন, ‘কীভাবে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে সেটা জানি না।’
আহত ফিরোজ মাঝির স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘সোমবার রাত নয়টার দিকে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার সকালে বোমা বিস্ফোরণে আমার স্বামীর আহতের খবর জানতে পারি।’
স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিনসহ একাধিক সূত্র জানায়, মনির বয়াতি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তারা নিজেরাই বোমা বানাচ্ছিল, নাকি তাদের ঘরে কেউ বোমা ছুড়ে মেরেছে পুলিশের তদন্তেই সেটা বের হয়ে আসবে।