ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের হামলায় দুই জেলে নিহত হয়েছেন। তারা হলেন মিজানুর রহমান মাঝি (৫৪) ও মো. রাব্বি (১৬)। সম্পর্কে দুজন চাচা-ভাতিজা। তাদের বাড়ি হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায়।
এ হামলার ঘটনায় আরো ১৫ জেলে আহত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।স্থানীয় একাধিক জেলেরা জানান, নদীতে জাল পাতা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইউনিয়নের আটকপাটের জলদস্যুরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, জলদস্যুরা ট্রলারে হামলা করলে জেলেরা ভয়ে পানিতে লাফ দেন। পরে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়ে দুই জেলে মারা গেছেন। মৃতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ময়নাতদন্তে সব বের হয়ে আসবে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার আটকপাটের জেলেদের সঙ্গে খেজুর গাছিয়ার জেলে মো. মিজানুর রহমান মাঝির নদীতে জাল পাতা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের জের ধরে আটকপাটের জলদস্যুরা বোরকা পরে অস্ত্রহাতে খেজুরগাছিয়ার মিজানুর রহমান মাঝি ও তার মাল্লাদের খুঁজতে থাকে। কিন্তু খেজুরগাছিয়া এলাকায় তিনজন মিজানুর রহমান মাঝি রয়েছেন। তাই জলদস্যুরা কোন মিজানুর রহমান মাঝির সাথে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নিশ্চিত করতে না পেরে শনিবার দিবাগত রাতে মিজান নামের দুজনের নৌকায় হামলা করে ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় রাব্বি ও তার চাচা মিজান মারা যান। তবে যে মিজান মাঝির সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল তাকে পায়নি জলদস্যুরা।
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে জলদস্যুরা ট্রলারে হামলা করলে ভাতিজা রাব্বি পানিতে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে বাঁচাতে চাচা মিজানুর রহমানও পানিতে লাফ দেন। এতে দুজনই মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো ও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুলিশ।