রিটার্নিং অফিসারদের যাচাই-বাছাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন আলোচিত প্রার্থী। বর্তমান এবং সাবেক এমপিসহ এই সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। তৃতীয় দিনের বাছাইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মানিকগঞ্জের তিনটি আসনেই জাতীয় পার্টি-জাপার তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে।
হেভিওয়েট বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ঝালকাঠী-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, কক্সবাজার-১ আসনের সালাহউদ্দিন আহমদ এবং কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের নাসিরুল ইসলাম খান। তবে ঝালকাঠি-১ ও কক্সবাজার-১ আসনে বাছাইয়ে টিকে গেছেন বিএনপি ছেড়ে নৌকার প্রার্থী হওয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর এবং বিএনপির জোট ছেড়ে আসা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রার্থী রয়েছেন।
এছাড়া কাগজ-পত্রে জটিলতা থাকায় গতকাল রবিবার বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, পটুয়াখালী-১ আসনে জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন এমএ আওউয়ালসহ বেশ কয়েকজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ সোমবার তাদের মনোনয়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাদ পড়াদের মধ্যে আরও রয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে একই দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজর ( অব.) আখতারুজ্জামান। বাদ পড়া আলোচিত অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, চিত্রনায়িকা নায়িকা মাহিয়া মাহি, সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্ত্রনী, কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
ইসি সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যারা আগে কখনো সংসদ সদস্য ছিলেন না তাদের অনেকে বাদ পড়েছেন আসন এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরে ত্রুটি থাকায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করা ১০ জন ভোটারের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কি না জানতে চান। এই ১০ ভোটারের মধ্যে কেউ স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করতে পারেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ঋণ খোলাপ, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলীয় প্রধান স্বাক্ষরিত কাগজপত্র জমা দিতে না পারা, হলফনামায় সম্পদের হিসেব ও আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়াসহ অন্যন্যা করণেও বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হলেও আজ ৪ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে বাছাইয়ের কাজ। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাতিল ও বৈধ ঘোষিত মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ইসির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান হবে। এই আপিল নিষ্পত্তির পর জানা যাবে এ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হিসেবে বৈধতা পেলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আট বিভাগের জন্য পৃথক আটটি প্যান্ডেলে টানা পাঁচ দিন আপিল জমা দেওয়া যাবে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিশনের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এই নির্বাচনের প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল বিএইচ হারুণের :ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও শেষ পর্যন্ত দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন না পাওয়ায় বাতিল হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র। ঝালকাঠির দুটি আসনের সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আটজনের। বাতিলের তালিকায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন। ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ কল্যাণ পার্টির ইবরাহিমের: ঋণখেলাপি হওয়ায় কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে বাছাইয়ে টিকেছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আসনটিতে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৈধতা পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের জাফর আলম ও তার ছেলে। বাদ পড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর মাননীয় আদালত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন। সে হিসেবে আমি ঋণখেলাপি নই। অথচ ক্রেডিট ইনফরমেশন রিপোর্টে (সিআইবি) আমাকে খেলাপি দেখিয়ে বাতিল করা হলো। এটা অন্যায্য। আমি আপিল করব।’
নোয়াখালীতে আওয়ালীগ-প্রার্থীর মনোনয়ন-বাতিল: নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যায়। মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ হালনাগাদ করা আছে। সব কাগজপত্র দেয়ার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।
জাপা মহাসচিবের আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল: কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় আওলাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রার্থী রয়েছেন।
সংসদ সদস্য দিদারুলের মনোনয়নপত্র বাতিল: চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন; যদিও তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলীয় প্রধান স্বাক্ষরিত কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার কো-চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও আওয়ামী লীগের এম এ সালামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিকল্পধারার মেজর (অব.) মান্নান ও মাহীর মনোনয়নপত্র বাতিল: ঋণখোলাপির অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে একই যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের আইনজীবী বলেন, সব মামলা স্থগিত এবং ঋণ হালনাগাদ করা আছে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল :মানিকগঞ্জের ৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১২ জনের মনোনয়নপত্র। মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়নি। ঋণ খেলাপী দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এস এম আব্দুল মান্নান ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জহিরুল আলম রুবেলের। অন্যদিকে বাড়ির গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছে মানিকগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদের।
বরিশালের ৬ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল :বরিশাল অফিস জানায়, নির্বাচনে জেলার ৬টি সংসদীয় আসন থেকে বিভিন্ন দলের মোট ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেন। গতকাল যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হলো: বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনে জাকের পার্টির প্রাথী মো. রিয়াজ মোর্শেদ জামান, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিরাজ খান, জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আলবার্ট বাড়ৈ, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকির খান সাগর, মো. শাহরিয়ার মিঞা এবং নুর এ আলম সিকদার।
ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বীর মনোনয়ন বাতিল: নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বীসহ গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।