কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আজ আল বায়াত স্টেডিয়ামে রাত ১টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এ ম্যাচটিকে ঘিরে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। তারকায় ভরপুর এ ম্যাচটিতে পাওয়া যাবে ফাইনাল খেলা দেখার মতো উত্তেজনা। এর আগে রাউন্ড-১৬-এর খেলায় ইংল্যান্ড সেনেগালকে ৩-০ গোলে ও ফ্রান্স ৩-১ গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ আটে উঠে আসে। এবারের আসরে এ দুটি দলই যে ধরনের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে আজকের এ ম্যাচটি যে দারুণ রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে তা কিছুটা অনুমেয়।
এদিকে নক আউট পর্বের প্রথম খেলায় সেনেগালের বিপক্ষে শুরু থেকে বেশ চাপে ছিল ইংলিশরা। কোনোভাবেই গোল আদায় করতে না পেরে গ্যারেথ সাউথগেটের দল ধীরে ধীরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু তারুণ্যে নির্ভর এ দলটি খেলায় হাল ছাড়েনি এরপর একে একে ৩টি গোল করে জানান দেয়, এবারের কাপটি নেওয়ার জন্য তাদের কতটুকু শক্তিসামর্থ্য রয়েছে। তবে সেমিফাইনালে মরক্কো ও পর্তুগালের মধ্যে বিজয়ী দলের মোকাবিলা করার আগে সাউথগেটকে ফ্রান্সের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে।
কোয়ার্টার ফাইনালের বিদায় ইংল্যান্ডের জন্য নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর আগে এই পর্যায় থেকে ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৭০, ২০০২ ও ২০০৬ সালে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের। শেষ আটটি বিশ্বকাপের ছয়টিতেই তাদের ইউরোপিয়ান কোনো দলের সঙ্গে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
অন্যদিকে গত সাতটি আসরের পাঁচটিতেই ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে। এর মধ্যে রয়েছে শেষ তিনটি বিশ্বকাপ। দিদিয়ের দেশমের দল শেষ ১০টি নক আউট পর্বের আটটিতেই উয়েফা দলের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এখনো সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারেনি। কাতার বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচে গোল হজম না করে মাঠ ত্যাগ করেনি ফ্রান্স। এর আগে ১৯৬৬ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছিল ফরাসিরা। কিন্তু সাম্প্রতিক ইতিহাস থ্রি লায়ন্সদের পক্ষে নেই। শেষ আটটি ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। বর্তমানে শক্তিসামর্থ্য হিসেব করলে এ খেলাটি হবে বরাবরের লড়াই। দুই দলেই রয়েছে তরুণ কিছু দারুণ খেলোয়াড়। যারা কি না বিভিন্ন বড় ক্লাবে নিজের প্রমাণ করে এসেছে।