বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৯ জুন)। উনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
তিনি বিদেশে অবস্থানকালে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা রচনা করে দেশাত্মবোধের উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গেছেন।
মহাকবি মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার। মা ছিলেন জাহ্নবী দেবী।
মধুসূদনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মা জাহ্নবী দেবীর কাছে। জাহ্নবী দেবীই তাকে রামায়ন, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির সাথে সুপরিচিতি করে তোলেন। তেরো বছর বয়সে মদুসূদন দত্ত কলকাতা যান এবং স্থানীয় একটি স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনার পর তিনি সে সময়ের হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন।
তিনি বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতার বিশপস কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। পরবর্তীতে আইনশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য তিনি ইংল্যান্ড যান।
মাইকেল মদুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ বাংলা মহাকাব্যের অভিধা লাভ করায় মধুসূদন অভিষিক্ত হন মহাকবি হিসেবে।