ভারতে ক্রমেই বাড়ছে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ। সর্বশেষ দেশটিতে এক বিদেশি নারী মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশটিতে সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়া বিদেশি ওই নারীর বয়স ৩১ বছর। তিনি দিল্লিতে রয়েছেন এবং সেখানেই তার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিকে সর্বশেষ এই সংক্রমণের জেরে দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে।
অবশ্য দিল্লি ছাড়া ভারতে এখন পর্যন্ত যত মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের কথা সামনে এসেছে তার সবই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ভারতের প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এই রাজ্যটিতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন বিদেশি ওই নারী। তার ত্বকেও ব়্যাশ বের হতে দেখা যায়। আর এরপরই মাঙ্কিপক্সের জন্য তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
বর্তমানে ওই নারী দিল্লি লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে যে ব্যক্তি দিল্লিতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাকে গত সোমবার এলএনজেপি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।
এদিকে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোভিড রুখতে যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ওপর জোর দেওয়া হতো, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও মূলত প্রায় একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো অ্যান্টি-কোভিড প্রোটোকল এক্ষেত্রেও সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির কোয়ারেন্টাইনও এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। তবে সংক্রমণের পর শরীরে ভাইরাসের তীব্রতা মূলত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত বেশি হয় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।