ভারতের নয়ডার যমজ অট্টালিকা (টুইন টাওয়ার) ভেঙে ফেলা হয়েছে। কুতব মিনারের থেকেও উঁচু ছিল ওই ৪০তলা ভবন দুটি। বিস্ফোরণ ঘটানোর কয়েক মুহূর্ত আগেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেছেন, আশা করি কিছু ভুল হবে না।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে এমারেল্ড কোর্ট চত্বরে আনা হয় ১১টি স্মগ গান।যমজ ভবনের সামনে দুটি রাখা হয়। বাকি ৯টি স্মগ গান মোতায়েন করা হয় ওই এলাকার আশপাশে।
নয়ডার ৯৩-এ সেক্টরে এমারেল্ড কোর্টের যমজ ভবনের চারপাশে মোতায়েন করা হয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। ৫৬০ জন পুলিশ কর্মী, রিজার্ভ ফোর্সের ১০০ জন এবং জরুরি বাহিনীর চারটি দল।
এমারেল্ড কোর্টে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবাসনগুলোর মাঝখানে মাথা তুলে দাঁড়ানো দুই যমজ অট্টালিকার নাম ছিল ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’। তবে ২০০০ সালে যখন ‘এমারেল্ড কোর্ট’ আবাসন তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু হয়, তখন এদের কথা ভাবা হয়নি। তখন কথা ছিল, গ্রেটার নয়ডার এই এলাকায় ১৪টি আবাসন ভবন তৈরি হবে। যার প্রত্যেকটি হবে ৯ তলা উচ্চতার। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎ করেই বদলে যায় পরিকল্পনা।
নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ৪০ তলা ভবন দুটি নির্মাণের সময় বহু আইন মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। যা নিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আইনি লড়াই।
অবশেষে ২০২২ সালের ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, ২৮ আগস্ট ভেঙে ফেলতে হবে এই বহুতল ভবন। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই রবিবার পতন হলো এই জোড়া অট্টালিকার।
আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল, তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে ফেলা হবে এই বিশালকায় বহুতল ভবন। সেভাবেই ভবনটি ভেঙে ফেলা হলো।