জন্মসূত্রে পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক রাহত ফতেহ আলি খান। ‘তেরে মস্ত মস্ত দো নয়ন’, ‘তেরে বিন’, ‘ওরে পিয়া’-র মতো জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি। ভিন্ন দেশের নাগরিক হলেও তাঁকে আপন করে নিতে দ্বিধা করেননি ভারতীয় শ্রোতারা। তবে সম্প্রতি তাঁর নতুন রূপ দেখে অবাক তাঁর অনুরাগীরা। সমাজমাধ্যমের পাতায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক গৃহকর্মীকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি সমাজামাধ্যমে যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি), তাতে দেখা যাচ্ছে, এক গৃহকর্মীকে নির্বিচারে চড়, ঘুষি মারছেন রাহত। সেখানেই থামেননি পাকিস্তানি গায়ক। ওই গৃহকর্মীকে লাথিও মারতে দেখা যায় গায়ককে। তাঁকে মারতে মারতেই রাহত জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘বোতল কোথায় আমার?’’ ভিডিয়োয় দেখা যায়, সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। তাঁরা সবাই গায়কের কীর্তি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন বটে। তবে কেউই তাঁকে আটকাতে পারেননি। মার খাওয়া সত্ত্বেও ওই গৃহকর্মীকে বার বার ক্ষমা চাইতে দেখা যায় রাহতের কাছে। তবে, কোনও কিছুতেই রাগ শান্ত হয়নি গায়কের। ক্রমাগত চড়, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন তিনি।
গৃহকর্মীর প্রতি রাহতের এমন আচরণ দেখে হতবাক নেটাগরিকেরা। তাঁর গানের অনুরাগীরাও নিন্দামুখর গায়কের এমন অবতার দেখে। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই যদিও তড়িঘড়ি সাফাই দিয়েছেন রাহত। সেই ভিডিয়োয় ওই গৃহকর্মীকে নিয়েই হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানি গায়ক। রাহত দাবি করেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা নাকি নিতান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি নাকি নিজের গৃহকর্মীদের যেমন ভালোবাসেন, তেমনই তাঁরা দোষ করলে নাকি কড়া শাস্তিও দেন।
নির্যাতিত গৃহকর্মীর কথায়, ‘‘ওই বোতলে আসলে পবিত্র জল ছিল। ওই বোতলটা আমি কোথায় রেখেছিলাম, তা ভুলে গিয়েছিলাম। তাই তিনি আমাকে মেরেছেন। এ ধরনের ভিডিয়ো জনসমক্ষে ছড়ানো উচিত নয়।’’ রাহতের দাবি, ঘটনার পর মাথা ঠান্ডা হতেই নাকি তিনি তাঁর ভৃত্যের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।