তোমার ছবিতে আমাকে ছোট্ট হলেও একটা চরিত্র দাও! না হয় বহু অভিনেতার পিছনেই দাঁড়িয়ে থাকব! শাহরুখ খান এমনটি বলেছিলেন অভিনেতা আর মাধবনকে। এরকম কথা যে শাহরুখ বলতে পারেন, তা আজও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না মাধবন।
গপ্পোটা হল, আর মাধবন তার নতুন ছবি ‘রকেট্রি’র প্রোমোশনে দারুণ ব্যস্ত। সোমবার ছবির প্রচারে সাংবাদিক বৈঠকে এসেই শাহরুখের এমন কীর্তি ফাঁস করলেন মাধবন।
সাংবাদিক বৈঠকে মাধবন জানান, ‘জিরো ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার সময় ‘রকেট্রি’ ছবির কথা শাহরুখকে জানিয়ে ছিলাম। তখন শাহরুখ আমাকে বলেছিলেন, একটা ছোট্ট চরিত্রেও যেন তাকে নেওয়া হয়। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, শাহরুখ রসিকতা করছে। তবে এর দুদিন পরে আমি যখন শাহরুখকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার ম্যানেজারকে মেসেজ করি, তখন ম্যানেজার শুটিংয়ের ডেট জিজ্ঞেস করেন! এই ঘটনায় আমি পুরোটাই হতবাক!’
মাধবন আরও বলেন, এই ছবির জন্য শাহরুখ ও দক্ষিণী তারকা সূর্য এক টাকাও নেননি। এটা আমার কাছে খুব বড় পাওনা।
অভিনেতা হিসেবে নতুন করে মাধবনকে নিয়ে কিছু বলার নেই। এবার তার পরীক্ষা পরিচালক হিসেবে। ডেবিউতেই সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করছেন ছবি। ইসরোর প্রাক্তন রকেট বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের বহুচর্চিত ও বিতর্কিত জীবনকাহিনিই দেখা যাবে রকেট্রিতে। ১৯৯৪ সালে যার উপর গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। গারদের ওপারে কাটাতে হয়েছিল অনেকগুলো দিন। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। সেই বিখ্যাত বিজ্ঞানীই ভারত তথা বিশ্বের বিজ্ঞানের ইতিহাসে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন।ইসরোতে ক্রায়োজেনিক্স বিভাগের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। কমার্সিয়াল স্যাটেলাইটের বাজারে ভারতের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলারই চেষ্টা করেছেন তিনি। যার অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রকেট তৈরিকে। তবে শুধু দেশের বিজ্ঞানক্ষেত্রেই নিজের প্রতিপত্তি স্থাপন নয়, স্কটল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া থেকেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। এমনকী ইসরোয় কাজ করার জন্য নাসার প্রস্তাবও গ্রহণ করেননি। ট্রেলারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার জীবনের এমনই সব অজানা অধ্যায়। এমন ‘দেশপ্রেমী’ কীভাবে ‘গুপ্তচর’ হয়ে উঠল, এমন ‘জিনিয়াস’ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ঠিক কেমন ছিল, সবই জানার সুযোগ করে দেবেন মাধবন। আর কেমিও হলেও বহুদিন পর পর্দায় শাহরুখকে দেখে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে সিনেপ্রেমীদের।