বিয়েকে মনে করা হয় স্বর্গীয় দান। সেই মতে প্রেমও আসে স্বর্গ থেকে। সেই হিসেবে ২২৫ বছরের পুরনো মানসিক হাসপাতালেই স্বর্গ খুঁজে পেলেন ভারতের এক যুগল।
চেন্নাইর ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথে ঘটেছে এই ঘটনা। মাহেন্দ্রন ও দিপা দুজনেই এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আর সেখানেই তাদের পরিচয়। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে।
প্রেমের জের তাদেরকে ঘর বাঁধতে আগ্রহী করে তোলে। তবে ব্যতিক্রমী এই যুগল বিয়েটাও করতে চাইলেন ওই মানসিক হাসপাতালের আঙিনায়, সেখানকার চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা ও কর্মীদের সাথে নিয়ে।
সেই দাবি মেনেই তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। মন্ত্রী সুব্রামানিয়ান বলেন, ‘এটা অন্যরকম বিয়ে, আমার জীবনে এমনটা প্রথম দেখলাম।’
বিয়েতে প্রচুর উপহার সামগ্রী পেয়েছে মাহেন্দ্রন ও দিপা দম্পতি। সাথে ওই প্রতিষ্ঠানেই মিলেছে ওয়ার্ড ম্যানেজারের চাকরি, প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১৫ হাজার রুপি।
ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথের পরিচালক পুরান চান্দ্রিকা বলে, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত এবং আমরা বেশ খুশি।’
৪২ বছরের মাহেন্দ্রন বাইপোলার ডিজঅর্ডারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন আর ৩৬ বছরের দিপা পিতার মৃত্যুতে শোকাগ্রস্ত হয়ে মানসিক অবসাদে চলে যান। ২০২০ সালে তাকে প্রথমবার দেখেই প্রেমে পড়েন মাহেন্দ্রন। দিপাও সেই ডাকে সাড়া দেন।
দিপা বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণি সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি, সময় চেয়েছিলাম। যখন আমি বললাম হ্যাঁ, তখন অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’
মাহেন্দ্রনও জানালেন, প্রথমবার দিপার আচার-আচরণ দেখেই তার ভালো লেগে যায়। দিপা মানুষের প্রতি খুবই যত্নশীল।