মায়ামীতে গত ১ নভেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে।
মায়ামী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস দর্শকপূর্ণ কনফারেন্স হলে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদবোধন করা হয় গত ১ নভেম্বর। এর ফলে এখন থেকে ফ্লোরিডা ও আশেপাশের স্টেটএ বসবাস করা বাংলাদেশীরা হাতের কাছেই স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহন করে দীর্ঘ অপেক্ষা থেকে মুক্তি পাবে বলে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ মিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বহু দিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে ফ্লোরিডায় বসবাস করা বাংলাদেশিদের কষ্ট লাঘব করতে ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু করতে পেরে কনস্যুল জেনারেল জানিয়েছেন, তিনি এই মহান কাজটা সমাধা করতে পেরে খুব খুশি।
তিনি আরও বলেছেন, “এটা করার জন্য বহু দিন চেষ্টা করেছি আমরা, কিন্তু বেশ কিছু প্রতিকূলতার জন্য কিছুতেই ঠিক মতো কাজটা হচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত এটা হয়েছে সেটাই স্বস্তি।” এখন আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য পুর্ণাঙ্গ সেবা নিয়ে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
সেবা গ্রহনকারী প্রবাসীরা এই সেবা পেয়ে খুশী, তারা বলেন “আমাদের আঙ্গিনায় সব সেবা একত্রে পাওয়ায় সময় কমেছে, অর্থ খরচ বাঁচবে। এই সেবা এখানে নিয়ে আসার জন্য এর সাথে সম্প্রিক্ত সবাইকে ধন্যবাদ।
কনসাল জেনারেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ আবদুল কাদির, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মুশফিকুর রহমান মাসুম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরীন নাহার, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম এবং কারিগরী দলের সদস্য মাজহারুল হোসেন খান ও মোঃ মারুফুল আলম। এছাড়াও ফ্লোরিডাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী অনুষদ সদস্য ও ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী।
কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন মায়ামীতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্থাপিত হয় এবং ২০২২ এর ১৪ মার্চ থেকে পাসপোর্ট সেবা ব্যতীত সব ধরনের কনস্যুলার সেবা প্রদান করা শুরু করা হয়। পাসপোর্ট সেবা প্রদান শুরুর মাধ্যমে এ কনস্যুলেট থেকে সব ধরনের কনস্যুলার সেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি অনতিবিলম্বে কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুক পেইজে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রাপ্তির নিয়মাবলী উল্লেখ করা হবে বলে জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশস্থ ৮১টি বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে ৩৭তম মিশন হিসেবে মায়ামীতে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদান শুরু হলো বলে তিনি সকলকে অবহিত করেন। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মুশফিক ই-পাসপোর্টের কারিগরী বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ আবদুল কাদির তাঁর বক্তব্যে ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট শুরুর প্রেক্ষাপট ও ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশী ১০ জনকে এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের হাতে ডেলিভারি স্লিপ হস্থান্তর করা হয়।