২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকে মিয়ানমারে যেনো শান্তি ফিরছে না। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ দেশটিতে চলছে একের পর এক হত্যাকান্ড। এবার গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের উপ-পরিচালক সাই কিয়াও থুকে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা
দেশটির সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, এটি সামরিক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সর্বশেষ হত্যকাণ্ড। অভ্যুত্থানবিরোধী জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে দাবি সেনাবাহিনীর।
২০২০ সালের নভেম্বরে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে সু চিকে বন্দি করে।
চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন অং সান সু চির দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, নতুন নির্বাচনি আইনে পুনরায় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।
অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় দশ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। জান্তাবিরোধীদের দমনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিকদের ওপর বোমা ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষমতা দখল করার পর হাজার হাজার বিরোধী এবং গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে জেলে ঢুকিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্তত ৩ হাজার ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে নৃশংসভাবে বিক্ষোভ দমন করেছে তারা।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হওয়া অন্তত ১৭ হাজার ৪৬০ জনকে আটক রাখা হয়েছে।