অনেকেরই মিষ্টি খাবার পছন্দ করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চাইলেও সবসময় মিষ্টি খাওয়া যায় না। ডেজার্টে মিষ্টির পরিমাণ বেশিই থাকে। এ কারণে খাদ্যতালিকা থেকে খাবারটি অনেক সময়ে বাদ দিতে হয়। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে ডেজার্ট খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। বরং এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি জোগায়।
মিষ্টি খাবারের মধ্যে ডার্ক টকোলেটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখো গেছে, ডার্ক চকোলেট হৃদরোগের আশঙ্কা এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে৷ এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনকী, আপেলের তুলনায় পাঁচগুণ ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে চকোলেটে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজে আসে ডার্ক চকোলেট। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে হলে ডার্ক চকোলেট খাওয়া ভাল। ডার্ক চকোলেটের কোকো দাঁতকে সুরক্ষিত করে৷ কোকোর অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল প্রপার্টি দাঁতের ক্যাভিটি ও প্লাক সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলিকে নষ্ট করে৷
ডার্ক চকোলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে মন ভাল থাকে। এসব খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকায়, মস্তিষ্কে সেরোটনিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন মন ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে ওজনের সঙ্গে মিষ্টির সম্পর্ক আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে অল্প পরিমাণে ডেজার্ট খান, তারা অনেক বেশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। কারণ তাদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য কোনও লোভ হয় না। এর সঙ্গে যদি ডায়েট আর ব্যায়াম করতে পারেন, তা হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা কোনও সমস্যাই হবে না। ডেজার্টে আর একটা ভাল দিক আছে। চাইলেই ফ্রুট বেসড ডেসার্ট খেতে পারেন। যারা এমনিতে ফল খেতে পছন্দ করেন না তারা বিভিন্ন ডেজার্টের সঙ্গে ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে টক দইয়ের সঙ্গে একটু র্যাসবেরি বা ব্লুবেরি মিশিয়ে নিলে ডেস খাওয়াও হবে আবার ফলের পুষ্টিগুণও পেয়ে যাবেন। ভ্যানিলা অ্যান্ড ম্যাঙ্গো স্মুদি বা চকোলেটে ডোবানো স্ট্রবেরিও ফল খাওয়ার ভাল উপায়। তবে পরিমাণের দিকেখেয়াল রাখেত হবে। কারণ প্রতিদিন মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হবেই। ডেজার্টে উপস্থিত চিনি শরীরের জন্য ভাল নয়। চিনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ওবিসিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদেরাগের সমস্যা, বিপাকে সমস্যা হতে পারে। এত দাঁতেরও ক্ষতি হয়, কারণ মিষ্টি খাওয়ার পর মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া দাঁতের সঙ্গে লেগে যায়, ল্যাক্টিক অ্যাসিড তৈরি করে। এতে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি সবই হতে পারে। এজন্য মিষ্টি খেলেও খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়।