মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো কোনো পাকিস্তানি প্রতিযোগীর নাম দেখা গেছে। কিন্তু তার অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কেননা পাকিস্তান সরকার তাকে অংশ নিতে দেবে কিনা সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মালদ্বীপের একটি রিসর্টে করাচি-ভিত্তিক প্রতিযোগী এরিকা রবিনের মাথায় মুকুট পরার পর পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৌলবাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে গোয়েন্দা ব্যুরো-পাকিস্তানকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কীভাবে পাকিস্তানের নাম দিয়ে একজন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।
জানা গেছে, মিস ইউনিভার্স পাকিস্তানের জন্য সরকার অনুমতি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন। কারণ এর আয়োজনকারী সংস্থাটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক।
একদিকে, ২৪ বছর বয়সী রবিন সবাইকে তার দেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেছেন, ‘পাকিস্তানে আসুন, চমৎকার পাকিস্তানি খাবারের স্বাদ নিন এবং আমাদের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি, তুষারাবৃত পর্বতমালা, সবুজ এবং প্রগতিশীল ল্যান্ডস্কেপগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করুন।’
কিন্তু অন্যদিকে, পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে কারা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল তা তদন্ত করার জন্য সরকার গোয়েন্দা ব্যুরোকে (আইবি) নির্দেশ দিয়েছে।
মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান প্রতিযোগিতাটি দুবাই-ভিত্তিক ইউজেন গ্রুপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি মিস ইউনিভার্স বাহরাইন এবং মিস ইউনিভার্স মিসর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক।
পাকিস্তানের ধর্মীয় পণ্ডিত এবং সিনেট সদস্যরা অর্থনৈতিক সঙ্কট, বিদ্যুতের ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের উদ্বেগ একপাশে রেখে রবিন এবং মিস ইউনিভার্স পাকিস্তানের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। অনেকে একে ‘লজ্জাজনক কাজ’ এবং ‘পাকিস্তানের নারীদের অপমান ও শোষণ’ বলে অভিহিত করেছেন।