বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত যেসকল পাঠাগার গ্রাম থেকে উঠে এসে জাতীয় পর্যায়ে আলো ছড়িয়ে মডেল পাঠাগারে রূপান্তরিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ অন্যতম।
বাংলাদেশের পাঠাগার আন্দোলনের ইতিহাসে এই গ্রন্থাগার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্যজন প্রয়াত আলী যাকের স্মরণে ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ- ২০২৫ এ অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগারের উদ্যোগে গতকাল (২১ জুন) সকালে গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা ও জনতা ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বিভাগীয় কার্যালয়, সিলেট) শুভাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রত্নদীপ দাস রাজুর সঞ্চালনায় গ্রন্থাগারের সনাতন-দীননাথ পাঠকক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো: জহির উদ্দিন, ঢাকার দনিয়া পাঠাগারের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও এক্সিম ব্যাংক সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবু আজাদ, ঢাকার সীমান্ত গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ টোকন, ঢাকার উত্তরার তাহমিনা-ইকবাল পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক শফিউল গণি, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার অজিৎ স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা রাসমোহন দাশ, শিক্ষক শরদিন্দু দাশ।
সনদপত্র বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পাঠক ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয় দাশ, সদস্য সাগর দাশ, ঝুমা রাণী দাশ, সৃষ্টি রাণী দাশ, ওলি রাণী দাশ, অনিক দাশ, দীপ দাশ, শাওন দাশ, গোপাল দাশ জিৎ, দীপ শেখর দাশ, ক্রীড়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ প্লাবন, গ্রন্থাগারের কর্মী রুদ্র কিশোর দাশ প্রান্ত প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত সারাদেশের ৫০টি বেসরকারি পাঠাগারকে নিয়ে ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’- ২০২৫ এ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’-এর তিন ক্যাটাগরীতে ১৪ জন পাঠক অংশগ্রহণ করেন।
স্কুল পর্যায়, কলেজ পর্যায় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে সারাদেশের ৫০ টি পাঠাগারের প্রত্যেক ক্যাটাগরীতে ২৫০ জন করে মোট ৭৫০ জন পাঠক অংশগ্রহণ করেন।
স্কুল পর্যায় থেকে ১০ জন, কলেজ পর্যায় থেকে ১০ জন ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে ১০ জন পাঠক/শিক্ষার্থীকে শ্রেষ্ঠ পাঠক নির্বাচিত করা হয়।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’-এর পাঠক স্কুল পর্যায় থেকে ১ম শিমু দাশ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে ১ম জনি দাশ নির্বাচিত হন।
বিগত ১৯ মে তারিখে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত অনুষ্ঠানে জনি দাশ ও শিমু দাশ পাঁচ হাজার টাকা নগদ অর্থ, মহামূল্যবান বই ও সনদপত্র গ্রহণ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে সকল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।