ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে চতুর্থ দফায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন ১১ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৩৩ জনকে নিয়ে একটি বাস এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে পৌঁছেছে। তাদের নিয়ে ইসরায়েলের হাত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৫০ জনে উন্নীত হলো।
অস্থায়ী এই যুদ্ধ বিরতি আরও দুই দিন বাড়ছে, গতকাল এমন ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েল জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া আরও ১১ জিম্মি নিরাপদে ইসরায়েলে ফিরে এসেছে।
মধ্যস্থতায় মুখ্য ভূমিকা পালনকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের ছয়জন আর্জেন্টিনার, তিনজন ফ্রান্সের, এবং দুজন জার্মানির নাগরিক। চুক্তি অনুযায়ী হামাস এখন পর্যন্ত ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে গাজায় চারদিনের ‘মানবিক’ বিরতি শুরু হয়েছিল। সোমবার রাতেই এ বিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন মঙ্গলবার ও বুধবারও যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে, ফলে আরও বন্দি বিনিময়ের পথ খুলেছে।
আগের চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চারদিনে হামাসের অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা, বিনিময়ে ইসরায়েলের তাদের কারাগারে বন্দি অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাস ভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে বলে শর্ত ছিল।
সেই শর্ত মেনে এরই মধ্যে হামাস ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। আর বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে ১৫০ জনকে মুক্তি দিয়েছে। যুদ্ধ বিরতির শর্ত অনুযায়ী, প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। ইসরায়েল আগেই জানিয়েছিল, প্রতিদিন অন্তত ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি একদিন করে বাড়ানোর বিষয়ে রাজি আছে তারা।