এমন আনন্দ তার জীবনে আর আসেনি। এমন ক্রিসমাসও তার জীবনে আর আসেনি। সাত বার ব্যালন ডিঅর জিতলেও সেই আনন্দ আর অনেক প্রতীক্ষার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ এক হতে পারে না। ব্যালন ডিঅর জয়ের পুরস্কারগুলো মেসির ঘরে আলো ছড়ালেও বিশ্বকাপ মেসির ঘরে আলোর বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সব পাওয়ার আনন্দ বিশ্বকাপ পাওয়া। সেই আনন্দলগ্নের ক্রিসমাস আর কখনো আসেনি। ৩৫ বছর বয়স চলছে। আগের ৩৪ ক্রিসমাস উদযাপন করা মেসি এবার জীবনের সেরা ক্রিসমাস উদযাপন করলেন। মাত্র আট দিন আগে বিশ্বকাপ জিতে ক্রিসমাস উদযাপন করলেন মেসি। তার জন্য আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ীদের জন্য প্রথম ক্রিসমাস। মেসির জন্য প্রথম ক্রিসমাস।
এখনো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলাররা আনন্দ উদযাপন করছেন। বিশ্বকাপ জয়ের রেশ এখন জ্বলজ্বল করছে। আট দিনের মধ্যে পৃথিবী জুড়ে চলে এলো ক্রিসমাস। ফুটবলারদের ব্যক্তিগত জীবনে আরো উজ্জ্বলতা ছড়াল।
আর্জেন্টিনায় মেসি এবং তার পরিবার। মেসির জন্মের শহর রোজারিওতে রয়েছে তার অভিজাত বাড়ি। মেসি তার বাড়িটাকে আলোকসজ্জা করেছিলেন। ক্রিসমাস ট্রি আলোকিত করা হয়। বন্ধুদের সবাইকে দাওয়াত করেছিলেন। দোতলা বাড়ির সবুজ লনে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছেন। মেসির স্ত্রী আন্তেলোনা রোকুজ্জো লাল রঙের পোশাক পরেছিলেন। লনে নেচেছেন মেসির স্ত্রী। স্বামীর জীবেন সবচেয়ে বড় সাফল্যের পর প্রথম ক্রিসমাস। এমন দিনে কোনো স্ত্রী আছেন নিজেকে ধরে রাখবেন। আনন্দের স্রোতে ভাসিয়ে গ্লাস হাতে নাচলেন। ক্যামেরাম্যান স্বামী মেসি। ভিডিও করলেন। সেই ভিডিও আপলোড দিলেন মেসি। পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আনন্দঘন মুহূর্তের ভিডিও করা ছবি। লুফে নিলেন মেসি ভক্তরা। লুফে নিলেন মেসির স্ত্রী আন্তেলোনা রোকুজ্জোর তিন কোটি ফলোয়ার। ক্লিক করেছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
রোজারিওতেই আরেক ফুটবল কিংবদন্তি ডি মারিয়ার বাসা। এবার নাকি সেখানে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছে মেসি এবং ডি মারিয়ার বাসায়। লোকজনের ভিড়ও হয়েছিল সেখানে। বিশ্বকাপের আনন্দে থাকা বিশ্ব আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়নদের ক্রিসমাসের আনন্দ উদযাপনের গন্ধ পেয়েছেন। এলাকার পুরোনো বন্ধুরাও এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
কাতার বিশ্বকাপ মেসির জীবনের সেরা বিশ্বকাপ। যারা কাতার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাদের কাছেও কাতার সারা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকছে। বলছেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বকাপ। ফাইনাল এখনো মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। ফাইনাল নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে মানুষের মনে। যরা মেসিভক্ত তাদের চোখে মেসি এক হাতে কি না পেয়েছেন। বিশ্বকাপের সঙ্গে গোল্ডেনবল পেয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছেন মেসি। তিনটা গোল করিয়েছেন। গোলের সাতটা সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। ৫ বার ম্যাচ-সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মেসি তার দলের অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।