লিওনেল মেসিদের কাতার বিশ্বকাপ জয়ের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে গত ১৭ মে হয়ে গেল ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন। ফিফা আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনের ২০২৬ বিশ্বকাপ ও মেসিকে নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়া।
মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন? আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ক্রীড়া দৈনিক ‘ওলে’র সাংবাদিক সরাসরিই এই প্রশ্ন করেছিলেন এএফএ-এর প্রধান তাপিয়াকে। তিনি উত্তরে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলেননি। তবে আশা প্রকাশ করেছেন, মেসি যেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা চালিয়ে যান। মেসিকে সঙ্গে নিয়ে আরো কিছু শিরোপা জিততে চান তাপিয়া।
এই বিশ্বকাপই হয়তো আমার শেষ-এমন ঘোষণা দিয়েই কাতার বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলেন মেসি। পরে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর ‘বিশ্বজয়ী হিসেবে আরো কিছু ম্যাচ খেলতে চাই’-নতুন এই ঘোষণা দিয়ে মেসি এখনো জাতীয় দলের হয়ে খেলে চলেছেন। তবে কতদিন খেলাটা চালিয়ে যাবেন, মেসি তা স্পষ্ট করেননি।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও নির্দিষ্ট করে জানেন না, মেসি ঠিক আর কত দিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলবেন। তবে কোচ স্কালোনি, মেসির জন্য জাতীয় দলের দরজা সব সময়ের জন্য খোলা রেখেছেন। জানিয়ে রেখেছেন, ‘মেসি যতদিন চাইবে খেলতে পারবে। সিদ্ধান্তটা একান্তই তার।
এএফএ সভাপতির কণ্ঠেও স্কালোনির কথারই প্রতিধ্বনি। বর্তমানে মেসির ক্লাব ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। চুক্তি নবায়ন করে বর্তমান ক্লাব পিএসজিতেই থাকবেন, নাকি পাড়ি জমাবেন নতুন কোনো ঠিকানায়-বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এটিই। তবে মেসির ক্লাব ক্যারিয়ার নিয়ে তাপিয়ার করার কিছু নেই। সেটা একান্তই মেসির ব্যাপার। কিন্তু মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সঙ্গে তাপিয়ার সম্পর্ক আছে। মেসির প্রতি আছে দাবিও। সেই দাবিতেই তাপিয়া বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই তাকে মাঠে দেখতে চাই। আমি চাই সে খেলে যাক, খেলাটা উপভোগ করুক। এখন যেমন সে খেলাটা উপভোগ করছে। সে গর্বিত এবং আনন্দিত।
তাপিয়া আরও যোগ করেন, ‘আমরা গর্বিত যে, সে বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা তাকে মাঠে দেখতে চাইব। আগামী বছর কোপা আমেরিকা আছে। আমরা একসঙ্গে আরো শিরোপা জিততে চাই, এটা তো আমাদের সবারই চাওয়া।’
‘সব প্রাপ্তি’র ক্যারিয়ারে মেসিকেও খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই কথা স্মরণ করে তাপিয়া বলেছেন, “অনেক বাজে সময় গেছে তার, যে মুহূর্তগুলো সত্যিই তার মতো একজনের জন্য সঠিক ছিল না। তবে আমি মনে করি বিশ্ব্বকাপে আমরা সেরা মেসিকে পেয়েছি। প্রতিটি ম্যাচেই সে উন্নতি করেছে। সে এমন একটা বয়সে এসে বিশ্বকাপ জিতেছে, যে বয়সে মানুষ বলাবলি করে ‘তোমার সময় শেষ’।