নীলফামারীর ডোমারে জিয়ারুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে শিশুকন্যা ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার শাশুড়ি ও ১৪ দিন বয়সী আরেক সন্তান ইয়াছিন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর জিয়ারুল আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম (২৫) ও আড়াই বছর বয়সী কন্যা ইয়াছমিন আক্তার। আহত হয়েছেন তার শাশুড়ি বিলকিস বেগম (৪৫) ও ১৪ দিন বয়সী সন্তান ইয়াছিন। আহতদের ডোমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়ার সুমারু মামুদের ছেলে জিয়ারুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি নিমোজখানার হরীতকীতলায় বসবাস করছিলেন। বুধবার রত্নার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কন্যা ইয়াছমিনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন রত্না। তার মা বিলকিস বেগমও ১৪ মাস বয়সী নাতিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসেন।
এ সময় জিয়ারুল বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাশুড়ির কোলে থাকা শিশুকে আঘাত করে প্রথমে মাটিতে ও পরে পানিতে ফেলে দেয়। তাকে তুলে নিতে এগিয়ে গেলে শাশুড়িকে আঘাত করতে থাকে। এ সময় তার গালে ও পিঠে আঘাত লাগে। এর পরও দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তিনি।
এরপর মেয়ে ইয়াছমিনের পেটে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার নাড়িভুঁড়ি বের করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর রত্নাকে কুপিয়ে হত্যা করেন জিয়ারুল। এরপর নিজের পেটে অস্ত্র ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জিয়ারুল। এ সময় স্থানীয়রা আহত বিলকিস বেগম, শিশু ইয়াছিন ও জিয়ারুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে জিয়ারুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, ঘটনাস্থল থেকে জিয়ারুলের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।