দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার পর ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি আর্জেন্টাইনদের। সেই উৎসবের আমেজের মধ্যেই আর্জেন্টিনায় বসছে বিশ্বকাপ আসর! মেসিদের দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। আর স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে আর্জেন্টিনার যুবাদের সামনে খুলে গেল বিশ্বকাপে খেলার দরজাও।
তরুণদের এই টুর্নামেন্টে এবার খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পেরোতে পারেনি বাছাইপর্বের বেড়া। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে স্বাগতিক অধিকার পেয়ে যাওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে ফেলল আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টটা আবার শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২০ মে থেকে! মানে সামনে সময় আর মাত্র এক মাস।
আসলে এই টুর্নামেন্টটা হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। টুর্নামেন্ট আয়োজনের সব বন্দোবস্ত সেরেও ফেলেছিল তারা। কিন্তু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের অংশ নেওয়া নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। ক্রমেই সেই অস্থিরতার রেশ বাড়তে থাকতেই ইন্দোনেশিয়া শেষ মুহূর্তে এসে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। ফিফাকে অনুরোধ করে টুর্নামেন্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়ে যায় ফিফা। টুর্নামেন্ট শুরু হতে মাত্র মাস খানেক বাকি। এই অল্প সময়ে কীভাবে তারা নতুন আয়োজক খুঁজে নেবে।
বিষয়টা নিয়ে ফিফাকে অবশ্য খুব বেশি ভাবতে হয়নি। ইন্দোনেশিয়া না করে দেওয়ার পর দ্রুতই আর্জেন্টিনা সুযোগটি লুফে নেয়। আয়োজক হতে পারলেই যেহেতু টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ মিলবে, তাই আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফার কাছে আয়োজক হওয়ার আবেদন করে।
গভর্নিং বডির বৈঠকের পর ফিফাও বিকল্প স্বাগতিক হিসেবে আর্জেন্টিনার নাম ঘোষণা করেছে। বৈঠক শেষে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফানতিনো নতুন আয়োজক হিসেবে আর্জেন্টিনার নাম ঘোষণা করে বলেছেন, ‘আমি এই ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপটি আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ভবিষ্যতের সুপারস্টারদের জন্য দুয়ার খুলে দেওয়ায় ধন্যবাদ।
আর্জেন্টিনা এর আগেও একবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল। ২০০১ সালের সেই আসরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ইসরাইল ইস্যুতে হঠাত্ই ভাগ্য খুলে যাওয়ায় এবারও কি চ্যাম্পিয়নই হতে যাচ্ছে মেসিদের উত্তরসূরিরা? টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল।
উল্লেখ্য, ২০ মে টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ জুন।