প্রত্যেক ম্যাচেই শেখ মোরসালিনকে বদলি খেলতে নামানো হয়েছিল। দুই ম্যাচে দুই গোলও করেছিলেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের ছেলে, ১৭ বছর বয়সের মোরসালিন। ২৮ জুন বুধবার, বেঙ্গালুরুতে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নামার আগে একই গ্রুপের অন্য খেলায় লেবানান ১-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য সেমির পথ সহজ করে দিয়েছিল।
ভুটানের বিপক্ষে নেমে গোল করে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়েছিলো মোরসালিনের দর্শনীয় গোল। ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে বাম পায়ে যে শটটি নিয়েছেন সেটা গিয়ে ভুটানের জালে জড়িয়ে যায়। অসাধারণ গোল। মনে রাখার মতো গোল ছিল সেটি। সেই মোরসালিনকে গতকাল সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে শুরুর একাদশে নিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।
খেলার প্রথম মিনিটেই শেখ মোরসালিন কুয়েতের আব্দুল রহমান মারজুককে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি। এই গোলটা হয়ে গেলে বাংলাদেশ উজ্জীবিত হতো। বরং বাংলাদেশ নিচ থেকে খেলাটা গড়ে তুলতে গিয়ে বিল্ডআপ ফুটবল থেকে রক্ষণাত্মক ফুটবলে পরিণত করেছে। সুযোগ বুঝে কুয়েত আক্রমণের মিছিল শুরু করলেও ভাগ্য ভালো গোল পায়নি তারা।
পায়ে অসহ্য ব্যথা নিয়ে মাঠে নামা ফিনল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক কাজী, তপু বর্মন, বিশ্বনাথ, হৃদয়, ঈসা ফয়সালরা রক্ষণে প্রাচীর গড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপরও ফাঁকফোকর ফুটো করে বাংলাদেশের আঙ্গিনায় বল ঢুকে গেলেও গোলপোস্টে জিকো বারবার ঝড় সামাল দিয়ে বল গ্রিপে তুলেছেন। কুয়েতের আক্রমণভাগে বদলি নামা আলদেফরি এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আগেও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন। এই দুই জন মাঠে নেমে কুয়েতের আক্রমণ বদলে দিয়েছিলেন। তারপরও গোল পাচ্ছিল না কুয়েত। এর মধ্যেও রাকিব দুর্দান্ত শট করে গোল পাননি। এখানে রাকিবের ভুল ছিল না। মোরসালিনের ক্রসের রকিব ঢুকে গিয়ে দুর্দান্ত শট নেন। কুয়েতের গোলকিপার মারজুক হাত বাড়িয়ে দিলেও বল ক্রস পিসের নিচে লেগে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেরিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। লেবাননের বিপক্ষে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে না পারা ফাহিম গতকাল বদলি নেমে দারুণ ক্রস তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাতাসে ভাসা বলে রাকিব ততদূর মাথা লাগাতে পারেননি।