যশোর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় যশোরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যশোর উপশহর থেকে বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মিজানুর রহমান খানকে আটকের পর নাশকতা মামলায় আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান। তার প্যানেলের সদস্যরা বলছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মিজানের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছে।
তবে যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করে বলেন, গত আট বছর ধরে যশোর চেম্বারে ভোট হয়নি। প্রশাসক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কারা এতদিন নির্বাচন করতে দেননি তা ব্যবসায়ীরা ভালো করে জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের ভোট। এই ভোটে আমাদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান। তিনি যেন ভোটে নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়েছে।
চেম্বারের নির্বাচনের আগে মিজানুর রহমান খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, ডিবি পুলিশের ওসি ও যশোর পুলিশের মুখোপাত্র রূপম কুমার সরকারের দাপ্তরিক নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ ধরেননি।
যশোর চেম্বারের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২১টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সাধারণে ৩৬ জন, সহযোগীতে ১৫ ও গ্রুপ সদস্য পদে জমা দিয়েছেন দুজন। নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান। যশোর ব্যবসায়ী ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ন কবীর কবু।
এদিকে, মিজানুর রহমান খানের গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। অবিলম্বে মিজানুর রহমান খানসহ যশোরে গ্রেপ্তারকৃত সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি জানানো হয়।
জেলা বিএনপির পক্ষে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সংসদীয় এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তিনি। সেই সূত্রে তিনি গত ২০১৮ সালে যশোর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান।