যুদ্ধাপরাধী আজহার এর মুক্তির প্রতিবাদে লন্ডন ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারী সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন “হৃদয়ে-৭১” ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়।
আমরা অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আজহার ছিলেন কারমাইকেল কলেজের ছাত্র, ইসলামী ছাত্রসংঘের (শিবিরের তৎকালীন নাম) নেতা, রংপুর জেলা (তৎকালীন বৃহত্তর জেলা) আলবদর বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে ১২০০ লোক হত্যা, অসংখ্য লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এবং ৪ জনকে অপহরন ও হত্যা — এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি একজন নির্যাতিতা নারী স্বয়ং আদালতে হাজির হয়ে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। অভিযোগগুলোর প্রমান পেয়ে তার ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় এক ‘মেটিক্যুলাসলি ডিজাইন‘ সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সরকার ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেয়া, মুজিব নগর ধ্বংস সহ মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি ও ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করার এক অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে এই চক্র। তারই নতুন সংযোজন আজহারের মুক্তি। সরকারী মদদে সংগঠিত এসব হীন অপতৎপরতা ও অপপ্রয়াসের আমরা তীব্র নিন্দা করছি এবং আদালতের এহেন ফরমায়েশী রায়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করছি। আমরা আশা করব যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মননীয় আদালত সব ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রভাবের উর্ধে উঠে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আরো নিষ্ঠাবান হবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশ্বকে দ্রুত পদক্ষেপের আহবান
বিবৃতিতে সাক্ষরকারীরা হলেনঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, শাহ ফারুক আহমদ, আনসার আহমদ উল্লাহ, আমিনা আলী, আলীমুজ্জামান, অলক সাহা, মাহমুদ হাসান, গোলাম রসুল খান, কিটন মো সিকদার, একেএম হোসেন চুন্নু, জলিল চৌধুরী, হাফিজ মো জিলু খান, ইকবাল হোসেন, মজিবুল হক মনি, আবু হোসেন, সৈয়দ হামিদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন, এ রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, আসমা আলম, আহমদ মোসলেহ উদ্দিন (খোকন), মো আতিউর রসুল (কিটন), মোহাম্মদ শাহজাহান আহমদ, কামরুজ্জামান দুলাল, ধনঞ্জয় পাল, সুজিত চৌধুরী, শামীম আখতার চৌধূরী, দেওয়ান আলী আসগর, নূরজাহান মিফাতুল নুর, মতিয়ার চৌধূরী, শামীম (আজাদ), শেখ নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মিফতাহুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, রুমী হক, জুয়েল রাজ, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, মাহফুজা রহমান, বাতিরুল হক সর্দার, সালমা বেগম, জেসমিন চৌধুরী, লিপি ফেরদৌসী, হারাধন ভৌমিক, অনর উদ্দিন, স্মৃতি আজাদ, উর্মী মাজহার, জাসমিন চৌধুরী, আজিজুল আম্বিয়া, হেলেন ইসলাম, ড. হাসনীন চৌধূরী, জামাল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাব আলী এবং কাউন্সিলার মঈন কাদরী (মেয়র)।