সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় আরও চার সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ৪২ ইউনিয়নে কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ দিকে জেলার কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তির্ণ চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তাদের বসত ঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা উপ-সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিনূর রহমান জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সদর ও কাজিপুরে ৪৪৫ হেক্টর জমির ধান, মরিচ, আখ রোপা আমন বীজতলা ও সবজি জাতীয় ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা না করলেও নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী পাঁচ উপজেলার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সঙ্গে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী অনেক পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, কাজিপুরে বন্যার কারণে ইতোমধ্যেই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.আক্তারুজ্জামান বলেন, এখনো উপজেলা ভিত্তিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের চাহিদা পাওয়া যায়নি। চাহিদা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা জন্য ৭৪০ টন জিআর চাল, ১৭ লাখ নগদ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ ও শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে। তবে কোনো বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।