আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তীতে এই দুটি আসনে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে।
নৌকার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে রোববার সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় মনোনয়প্রত্যাশীদেরকে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাশ করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
এর আগে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ৬ জন। এই আসনে টানা তিনবার মহাজোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে এবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা আসনটি জাসদকে ছেড়ে দিতে চান না। এ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ৬ জন হলেন- রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. ইফতেখার মাহমুদ, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরিফুজ্জামান নবাব, সৈয়দ কামরুল আরিফিন ও রশিদুল আলম।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনেও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল)।
উল্লেখ্য, চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।