দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা দিয়ে ৯ মাসের খাবার কেনা যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য অনেক চক্রান্ত চলছে। কিন্তু কেউ আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে পারবে না।
আজ বুধবার (২৭ জুলাই) আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে অর্থাৎ এক সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ কত ছিল? তিন বিলিয়নের কিছু ওপরে, ৩.৮ এ রকমই ছিল।
আর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি, তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫.৬ বিলিয়নের ওপরে রিজার্ভ করেছিল। সেখান থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ থাকে কেন, কোনো আপৎকালীন তিন মাসের খাদ্যশস্য কেনার মতো বা আমদানি করার মতো যেন অর্থটা আমাদের হাতে থাকে। আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে তিন মাস কেন, ৬ মাস, ৯ মাসের খাবার আমরা কিনে আনতে পারব।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাছে আমাদের কথা বারবার বলতে হবে। তারা ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক। আমরা যা করেছি সেই কথা মানুষের কাছে আমাদের নিয়ে যাবে। সেটাই হবে সমালোচনার জবাব। বুদ্ধিজীবী আছেন কিছু। দেশের বিষয়ে জানেন কী তারা? দক্ষিণাঞ্চলে কখনো গেছেন কি? আমরা তাদের মতো এত জ্ঞানী না। কিন্তু মানুষের পাশে থাকি। মানুষের ভালোমন্দ অনুধাবন করি। প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান থেকে দেশ পরিচালনা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগকে এটাই বলব তোমাদের কাজ হবে আমরা যে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যে উন্নতি দেশের হয়েছে, শিক্ষার দ্বার অবারিত হয়েছে, বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি সেই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি- এসব দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় মানুষের ঘরে বসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফ্রিল্যান্সার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বেকারদের ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে, রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছি- এই উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রত্যেকটি অঞ্চলে গিয়ে মানুষের কাছে বারবার বলতে হবে। কে কী বলল, সেদিকে কর্ণপাত করার কোনো দরকার নেই। আমরা কী করেছি তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলে সেটাই হবে আসল জবাব।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।