রংপুরে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে দশটার দিকে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী বাবু।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের মিছিল করার জন্য সমবেত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে কয়েক জন কর্মী তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ তাদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করতে দলীয় কার্যালয়ের ফটকের ভেতরে ঢুকে পড়ে প্রথমে ফজলে রাব্বী বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডনকে আটক করে।
আটকের সময় মহানগর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। হরতালের সমর্থনে মিছিল করার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে সেখানে থেকে পুলিশ তাদের তিনজনকে আটক করেছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘রোববার সকালে বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিএনপির রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু ইট-পাটকেল উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ সহিংসতা করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’