দেশের ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করা অর্থের ১০ শতাংশ বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি চান বলে জানিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ডলার নিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি খুব কম। এখন তো ডলার সংকট, প্রশ্নই আসে না। সেজন্য আমরা চেম্বারের পক্ষ থেকে সবসময় বলেছি, আমরা যদি ১০০ টাকার রপ্তানি করি, ১০ টাকা অন্তত এলাও করা উচিত সেখানে ইনভেস্ট করার জন্য। ভারত কিন্তু আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। আমরা আশা করছি, সরকার অন্তত ১০ শতাংশ ইনভেস্ট করার পারমিশন দেবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স— আইসিসির উদ্যোগে ও আইবিসিসিআইর সহযোগিতায় ৬ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট আইসিসি-বিমসটেক এনার্জি কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান-পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মাতলুব আহমাদ বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য সবসময় দুই তরফা হয়। এক তরফা দিয়ে শুরু হয়। পরে উভয়ই উপকৃত হয়। তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং জানান, এ ব্যবসায়িক কনক্লেভের উদ্দেশ্য হলো— বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশে এনার্জি ট্রেডিং খাতে উন্নীত করা। এছাড়াও, পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করার জন্য কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত থেকে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসার লক্ষ্য রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি জানান, ভারতের বিভিন্ন সেক্টরের ডেলিগেটস কনক্লেভে অংশ নিয়েছেন। ভারতের ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিতে বিনিয়োগ করতে চান।
ড. রাজীব সিং জানান, জ্বালানি-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। ৮৫টি কোম্পানির প্রতিনিধি যোগদান করছেন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কনফারেন্সে। আগামী তিন দিন সরকারের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশে চারটি বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আছে তাদের। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান সত্তম রায় চৌধুরী, ডিসেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সজল দত্ত, চার্নক হাসপাতালের এমডি ইশান্ত শার্মা প্রমুখ।