রাঙামাটির দুর্গম লংগদুতে আঞ্চলিক সংগঠনের দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার ছোট কাট্টলী নামক এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান। এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক অংগ্য মারমা বুধবার সকালে দাবি করেছেন শ্যামল চাকমা (৪৫) নামের তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য সংগঠনটি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করছেন।
এবিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লংগদু শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা জানান, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। ছোট কাট্টলী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।
লংগদু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সাধন কুমার চাকমা জানান, রাতে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছি। সেনাবাহিনীর একটি টহলদলের সঙ্গে আমি এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ওখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, ফিরে এসে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) মো. সানজিদ আহম্মেদ জানান, গোলাগুলির খবর রাতে শুনেছি। ঘটনাস্থলে এতোই দুর্গম যে রাতে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সেখানে যাচ্ছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন বলেন, এলাকাটি দুর্গম। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ না পাওয়া অব্দি কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে প্রভাবশালী এক গোয়েন্দা সংস্থা ওই গোলাগুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর জানালেও আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।