ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরে এক হিন্দু দর্জিকে গলা কেটে হত্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। নিহত ব্যক্তির নাম কানহাইয়া লাল তেলি। উদয়পুর শহরের ধানমন্ডি এলাকাযস্থ নিজের দর্জি দোকানে খুন হন তিনি। এই ঘটনার দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- গোস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আনসারি।
ঘটনার পর উদয়পুর শহরের সাতটি মহল্লায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে রেড-অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য সরকার।মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এদিন জামা সেলাই করার ভনিতা করে কয়েকজন লোক তার দোকানে আসেন।পরে তারাই তলোয়ার দিয়ে তার মাথায় কোপ মারেন। পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা ও এনডিটিভির।
পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, মহানবী (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বহিষ্কৃত হওয়া নুপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর নিহত এই দর্জিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
ঘটনার পর উদয়পুর শহরের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকটি জায়গায় অগ্নি-সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শান্তি বজার রাখার আবেদন করেছেন।
উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান নুপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার কারণেই এই হত্যা কী না। উত্তরে তিনি বলেন, সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত শান্তি বজায় রাখাই আমাদের প্রাথমিক কাজ। কয়েকজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে।
হত্যার যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিহত লাল তেলি পোশাক বানানোর জন্য এক ব্যক্তির গায়ের মাপ নিচ্ছেন। তারপরেই তার গলায় কোপ মারা হচ্ছে। এ সময় তিনি হতবাক হয়ে বলছেন, কী হল, স্যার কী হল!
তবে কোপ মারার কয়েক সেকেন্ড পরে ভিডিওতে ছবি আর দেখা যায়নি, শুধুই আর্ত চিৎকার শোনা যাচ্ছে। এই ঘটনার পর হিন্দু সংগঠনগুলি উদয়পুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ্ ডেকেছে।