প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় হেরে নিজের আইনজীবী এলেন ব্রেডহফ্টকে বরখাস্ত করেছেন অ্যাম্বার হার্ড। গত জুন মাসে এই অভিনেত্রী তাঁর প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় হেরে যান। বিচারটি ছয় সপ্তাহ ধরে চলে এবং অবশেষে অ্যাম্বারকে আদেশ দেওয়া হয় জনিকে ১০.৫৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরন দিতে। বর্তমানে অ্যাম্বার নতুন করে মামলাটি এগিয়ে নিতে চান এবং তিনি এই মামলায় তাঁর পুরনো আইনজীবীদের বরখাস্ত করেছেন।
হাই প্রোফাইল এই মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে নতুন এক দল অ্যাটর্নি নিয়োগ করেছেন অ্যাম্বার।এতদিন যাবৎ অ্যাম্বার হার্ডের প্রধান অ্যাটর্নি ছিলেন এলাইন ব্রেডহফট। কিন্তু তাকে চাকরিচ্যুত করে ডেভিড এল এক্সেলরড এবং জে ওয়ার্ড ব্রাউনকে নিজের আইনি দলে ভিড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তথ্য জানা যায়।
প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের কাছে মানহানি মামলায় হেরে কম আলোচনা ও সমালোচনার শিকার হননি হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। আর মামলায় হেরে যাওয়ার পেছনে নিজের আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন অ্যাম্বার। সে কারণেই নিজের আইনি দলে পরিবর্তন আনছেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’ খ্যাত এই অভিনেত্রী!
অ্যাম্বার হার্ডের নতুন আইনজীবি এক্সেলরড এবং ব্রাউন যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে তারা অ্যাম্বার হার্ডের আইনি দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। আপিল করার পর আদালত আইনের সদ্ব্যবহার করবেন এবং ন্যায়বিচার দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
বহুল আলোচিত এই মানহানি মামলার রায় ঘোষণার পর পেরিয়ে গেছে দুই মাসেরও বেশি সময়। অবশেষে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে অ্যাম্বার হার্ডের আপিল করার খবরটি জানা গেছে। ভার্জিনিয়ার আদালতের রায়ে ডেপ ও হার্ড দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হলেও, অ্যাম্বার হার্ডের দোষের পাল্লাই বেশি ভারি বলে রায় জুরিদের। ফলে ডেপকে ১০.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় অ্যাম্বার হার্ডকে।
জনি এবং অ্যাম্বার প্রায় তিন বছর ডেট করার পর ২০১৫ সালে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের মে মাসে, অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ীনিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে, জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করতো, যখন নেশায় থাকতো।