ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত আরও ছয় অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। এর মধ্যে পশ্চিমের শহর পসকভের একটি বিমানবন্দর রয়েছে। বন্দরটি লাতভিয়া এবং এস্তোনিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এখানে বিস্ফোরণে সামরিক পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর আল-জাজিরার।
ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, স্কভ অঞ্চেলে ড্রোন হামলায় চারটি সামরিক ট্রান্সপোর্ট প্লেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্রিমিয়াসহ আরও পাঁচ জায়গায় ড্রোন হামলা করেছে ইউক্রেন।
স্কভের গভর্নর বলেছেন, বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করার পর তা আবার চালু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে আবার বিমান চলাচল শুরু হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। এরপরই কিয়েভের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে রাশিয়া। ইউক্রেনের তরফ থেকে এখনো এই ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের সামরিক-বিশেষজ্ঞ সের্গেই মিগদালের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ইউক্রেন এখন আর শুধু রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর কাজ করছে না। বরং পাল্টা আক্রমণও করছে।’
ইউরোপীয় কাউন্সিলের ড্রোন বিশেষজ্ঞ ইউরিকে ফ্র্যাংকে বলেছেন, ‘এই হামলা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, যুদ্ধ এবার রাশিয়াতেও হবে।’ এছাড়া মিগদাল মনে করেন, ‘রাশিয়ার ওপর চাপ অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে মস্কোয় তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার ব্যাপারে চাপ অনেকটাই বাড়ল।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ড্রোন হামলা রাশিয়ার মানুষকে মারার জন্য নয় বরং রাশিয়ার বিমানবন্দর ও পরিবহন ব্যবস্থাকে অকেজো করার জন্য চালানো হচ্ছে।