রাশিয়ায় অস্ত্র না পাঠাতে ইরানের প্রতি দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই দাবি জানান।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ও তাদের পশ্চিমা জোট অভিযোগ করে জানায়, রাশিয়ায় কামিকাজে ড্রোন সরবারহ করে আসছে ইরান। সম্প্রতি এসব ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। যদিও ইরান শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে রাশিয়ার কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র সরবারহ করা হচ্ছে না।
এক টুইট বার্তায় কুলেবা জানিয়েছেন, শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান তাকে ফোন করেন। আলাপকালে যেসব অস্ত্র ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসে ব্যবহার হচ্ছে তা রাশিয়ার কাছে পাঠানো বন্ধ করার দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলা চালাবে না রাশিয়া। যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই ইউক্রেনে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। চিন্তা বাড়িয়ে কয়েক দিন আগেই নিজেদের আণবিক অস্ত্রের মহড়াও করেছে রুশ সেনা। পুতিনের তদারকিতে চলেছে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছিলেন এবার ইউক্রেনে পরামাণু হামলা চালাবে রাশিয়া। কিন্তু আপাতত সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন পুতিন।
এদিকে দখলকৃত ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরে একটি ড্রোন হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছে করেছে রাশিয়ার নৌবাহিনী। মস্কো মনোনীত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার এই দাবি করেছে। ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। টেলিগ্রামে সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ বলেছেন, ‘আজ ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সেভাস্তোপোলে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘সবগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান ভূপাতিত করা হয়েছে।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘রুশ নৌবাহিনী ড্রোন হামলা প্রতিহত করছে।’ গভর্নর জানিয়েছেন, শহর সতর্কাবস্থায় রয়েছে। শহরের কোনো বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শহরে বন্দরের কাছে একটি ছাত্রাবাত্রের জানালা ভেঙেছে। কিন্তু কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্থানীয়দের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।