রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বন্দরনগরী ওদেসা অঞ্চলে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, ওদেসা শহরের কাছে একটি উপকূলীয় শহরের আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে।
ভোরের আগে হওয়া এ হামলার একটি ভিডিওতে ওদেসা শহরের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত শেরহিভকায় ভবনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
পূর্ব ইউরোপের দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবকাশ যাপন কেন্দ্র এলাকার একটি বহুতল ভবনে আঘাত করেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়েরর চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেন, একটি সন্ত্রাসী দেশ আমাদের নাগরিকদের হত্যা করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে হেরে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে লড়ছে।
জেলেনস্কির কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিল টিমোশেঙ্কো বলেন, ১৮ জন নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
ওদেসার আঞ্চলিক সরকারের এক মুখপাত্র সের্হি ব্রাচুক টেলিগ্রামে বলেন, এ হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের জরুরি সেবার কর্মকর্তারা বলছেন, ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায়।
রাশিয়ার যদিও বারবার বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আলজাজিরা এ হামলায় নিহতদের সংখ্যার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে হামলার শুরুর পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল রুশ সেনারা। কিন্তু কিয়েভ ও অন্য শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে মার্চে নিজেদের লক্ষ্য পরিবর্তন করে মস্কো। এর পর দোনবাসকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এখন দোনবাসের শিল্পাঞ্চল দখলে নজর রাশিয়ার। দেশটির দাবি, ইউক্রেন সেখানে রুশভাষীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। মস্কো এ অঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার পর থেকে বেশ সাফল্য পেয়েছে বলা যায়। সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদোনেৎস্ক এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। তবে ইউক্রেনীয় সোনাদের প্রতিরোধের মুখে তাদের অগ্রগামীতা অত্যন্ত ধীর।