বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হচ্ছে। বিদায় অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ সেদিন উঠবেন রাজধানীর নিকুঞ্জে তার নিজের বাড়িতে।
বিদায় বেলায় আবদুল হামিদকে প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্টের একটি সুজ্জিত দল বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল মাঠে গার্ড অব অনার দেবে। বঙ্গভবনের প্রধান ফটকে তাকে দেওয়া হবে স্যালুট গার্ড। এরপর সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী তাকে নতুন ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে স্মরণীয় বিদায় জানানোর সব প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি দুই মেয়াদ ১০ বছর রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এটা স্মরণীয় ঘটনা। ৫২ বছরে আর কোনো রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনে এ রকম বিদায় অনুষ্ঠান হয় নাই।
জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিদায় অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হবে। গার্ড অব অনার দেওয়ার পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি পুষ্পসজ্জিত খোলা জিপে বক ফোয়ারা থেকে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত যাবেন। সেখানে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে সামরিক কায়দায়।
বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গাড়ির সামনে দড়ি ধরে দাঁড়াবেন। তারা দড়ি ধরে এগিয়ে গেলে পেছনে পেছনে যাবে গাড়ি। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পিজিআর সদস্যরা এ সময় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেবেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ব্যান্ড দল এবং অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি হামিদের বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবে।
এরপর বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের তত্ত্বাবধায়নে ভিভিআইপি গাড়িতে মোটর শোভাযাত্রা করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে নিকুঞ্জে তার বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রেস সচিব জানান, ২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণের পর তার গুলশানের বাসায় ফিরে যাবেন। এরপরই শুরু হবে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির বিদায় অনুষ্ঠান।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম দফায় শপথ নেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মো. আবদুল হামিদ। দ্বিতীয় দফায় তিনি শপথ নেন ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল। আজ রোববার (২৩ এপ্রিল) তার মেয়াদ শেষ হয়।