রুশ বাহিনীর তুমুল হামলায় দিশেহারা ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য এখন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ স্থাপনা। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে নতুন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পশ্চিমা অর্থনৈতিক জোট জি-৭।
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেনজুড়ে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বেশকিছু স্থানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের লাভিভ শহরের দুটো জ্বালানি স্থাপনায় অন্তত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। সেখানে বিশাল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া, নুতন করে ছোড়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দেনেপ্রপেট্রোভস্ক অঞ্চলের বিদ্যুৎ অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাভলোরাড এবং কামিয়ানস্কি এলাকা দুটোতে এখনও কোনো বিদ্যুৎ নেই।
রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া জেনারেলের নির্দেশে নির্ধারিত সব টার্গেটেই আঘাত করতে পেরেছেন রুশ সেনারা।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেছেন জি সেভেনের নেতারা। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যতদিন লাগবে ইউক্রেনের সাথে দৃঢ়ভাবে থাকার।
এছাড়া, তারা জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেছেন, ইউক্রেনকে তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা সমুন্নত রাখতে সহায়তা প্রদানের। সেইসাথে প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতানার অঙ্গিকার করেন তারা।