গত সোমবার তুরস্কের সুপার লিগে চলছিল অ্যাঙ্কারগুচু-কেকুর রিজেসপোরের ম্যাচ। সেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়ে যায়। এর আগে ম্যাচের ৯৬ মিনিট অবদি এগিয়েই ছিল অ্যাঙ্কারগুচু। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে হজম করে বসে গোল। আর তাতেই হারিয়ে বসেন ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোচা। মাঠে ঢুকে ম্যাচ রেফারি হালিল উমুত মেলের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন তিনি। এতে রেফারি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় অন্যরাও তাকে লাথি মারেন। পরে রেফারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর তুরস্ক লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর তুরস্কের ফুটবল লিগের সভাপতি মেহমেত বুয়ুকেক্সি বলেন, ‘লিগের সব ম্যাচ আপাতত স্থগিত। এ ঘটনা তুরস্কের ফুটবলের জন্য খুব লজ্জার।’ সেই সঙ্গে অ্যাঙ্কারগুচুর সভাপতি ফারুক কোচাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোচা ছাড়া আরও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। সেই সঙ্গে দেশটির পুলিশ জানায়, কোচা সেই রেফারিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
ঘুষি খাওয়া সেই রেফারি বলেন, ‘ফারুক কোচা আমার বাঁ চোখের নিচে ঘুষি মেরেছে। যে কারণে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। আমি যখন মাটিতে ছিলাম, তখন অন্য লোকেরা আমাকে মুখে এবং আমাকে অনেক বার লাথি মেরেছিল। সেই সঙ্গে কোচা আমাকে বলেছিল, আমি তোমাকে মেরে ফেলব।’ ম্যাচ রেফারিকে ঘুষি মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এছাড়া ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো নিন্দা প্রকাশ করেন।