রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্লাইড রেংগলি তার পরিচয় পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীনকে জানান।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুইজারল্যান্ড সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে গত পাঁচ বছরে সুইজারল্যান্ড অব্যাহতভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের বিদ্যমান এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিগত ৫০ বছরে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্ক বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত নতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে পিজিআরের একটি অশ্বারোহী দল তাকে ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে অস্ট্রিয়াতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।